Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ডেঙ্গুর ভয়ঙ্কর ধরন, বিকল করে দিতে পারে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা




ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ডেঙ্গুর ‘এনসেফালাইটিস’ ধরন। এডিস মশার এক কামড়েই বিকল হতে পারে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা। এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও আছে। বেঁচে ফিরলেও পঙ্গুত্ব বরণ করছেন রোগীরা। নির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকায় মুক্তির পথ হিসেবে মশা নিধনেই জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দু-এক দিনের সামান্য জ্বরের সঙ্গে বমি এবং শরীর ব্যথা। তবে কিছু বুঝে না উঠতেই জ্ঞান হারান রোগী। হাসপাতালে স্বজনদের ছোটাছুটি, আইসিইউতে কয়েকদিনের লড়াই; একপর্যায়ে সব প্রচেষ্টাকে তুচ্ছ করে দুই সন্তান আর সাজানো সংসারের মায়া ত্যাগ করেন চিকিৎসক দেওয়ান আলমিনা। মাত্র ৩২ বছর বয়সে ডেঙ্গু এনসেফালাইটিসের বলি হতে হয় তাকে। কিন্তু কি এই ডেঙ্গু এনসেফালাইটিস? সংক্রমণের মারাত্মক একটি ধরন ডেঙ্গু এনসেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহ। মারাত্মক এই ধরনে আক্রান্তের দু-তিন দিনের মাথায়ই দেখা দিতে পারে লক্ষণ। রোগীর ডেঙ্গুর স্বাভাবিক উপসর্গগুলোর পাশাপাশি প্রচণ্ড মাথাব্যথা, অসংলগ্ন আচরণ, জ্ঞান হারানো কিংবা খিঁচুনির মতো উপসর্গ থাকতে পারে। ইমেরিটাস অধ্যাপক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, এনসেফালাইটিস মানে হল ব্রেইনে জট পাকানো বা মস্তিষ্কের প্রদাহ। এনসেফালাইটিস হলে সিরিয়াস সমস্যা দেখা দেয়, ফলে রোগীর বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। তবে ভয় পাবার কিছু নেই এটা সচারাচার হয় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলছেন, মানুষের মস্তিষ্কের যেকোনো অংশই ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে, আক্রান্তের হার খুব বেশি নয়। এতে কখনও মস্তিষ্ক, কখনও লিভার কখনও কিডনি অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুব কম বলেও জানান চিকিৎসকরা। ডেঙ্গু এনসেফালাইটিস তুলনামূলক বিরল হলেও সংক্রমণে মৃত্যু, এমনকি শরীরে সৃষ্টি করতে পারে গুরুতর জটিলতা। ঘটতে পারে পঙ্গুত্বও। সবচেয়ে হতাশার বিষয়টি হচ্ছে, কিছু সহায়ক চিকিৎসা ছাড়া নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই ডেঙ্গুর বিশেষ এই জটিলতায়। ডেঙ্গু সংক্রমণের পর রোগীর আচরণে অসংলগ্নতা কিংবা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মুক্তির পথ হিসেবে জোর দিচ্ছেন মশক নিধনে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply