Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ভরপেট খাওয়ার পরে নুন মাখিয়ে রসগোল্লা খেতেন উত্তমকুমার! কেন?




উত্তমকুমার ভোজনবিলাসী। সুপ্রিয়া দেবীর আদর-যত্নে সেই বিলাসিতা আরও রঙিন! প্রতিদিন রকমারি

পদ রেখে টেবিল সাজাতেন উত্তম-নায়িকা। সেই টেবিল দেখে নাকি থমকে চেয়ে থাকতেন মহানায়ক। এর কারণও আছে। তিনি রোজ সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে রসিকতা করতেন। বলতেন, ‘‘নিত্য নতুন পদ বানাতে গিয়ে তোমার ভাঁড়ার তো শুন্য বেণু?’’ তখনই নাকি মৃদু হেসে খাবার টেবিলে মহানায়ককে নিয়ে আসতেন তিনি। সেখানে থরে থরে সাজানো মাছ, মাংস, আমিষ, নিরামিশ পদ। সঙ্গে রকমারি ফল, মিষ্টি। ২৪ জুলাই, তাঁর মৃত্যুদিনে অনেক অজানা কথা সামনে এনেছিলেন চার দশকের রূপটান শিল্পী কিশোর দাস। তিনিই জানিয়েছিলেন, খাবারের পদ দেখে সন্তুষ্ট হয়ে চেয়ার টেনে বসতেন ‘সপ্তপদী’র ‘কৃষ্ণেন্দু’। খুব মেপে খেতেন। কারণ, কোমরের মাপ ৩০ ইঞ্চি রাখতে হবে। কিন্তু সব পদ চেখে দেখতেন। খাওয়া শেষে মিষ্টিমুখ না করে কিছুতেই টেবিল ছাড়তেন না। ভাবছেন, যিনি শরীর নিয়ে এত ভাবেন তিনি মিষ্টি খেতেন! হ্যাঁ, মহানায়ক রোজ পাতে একটি রসগোল্লা খেতেন। তাও আবার নুন মাখিয়ে! এই খাওয়া নিজের চোখে দেখেছিলেন কিশোর। পরে কারণও জানতে চেয়েছিলেন সুপ্রিয়া দেবীর থেকে। তিনি জানান, সরাসরি মিষ্টি খাবেন না বলেই এই পদ্ধতি তাঁর। নোনতা রসগোল্লা আর যাই হোক মেদ বা সুগার বাড়াবে না। পরে সুপ্রিয়া দেবীও নাকি মহানায়কের পথেই হেঁটেছিলেন। উত্তমকুমারের পাল্লায় পড়ে মিষ্টির ভক্ত হয়েছিলেন তিনিও। কিন্তু সরাসরি মিষ্টি খেতেন না। তাতে পাতিলেবুর রস আর নুন মাখানো থাকত। অভিনেত্রী একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, নুন-লেবু মাখানো রসগোল্লার নাকি অপূর্ব স্বাদ ছিল। তিনি তৃপ্তি করেই খেতেন। এটা খাওয়াদাওয়ার বিলাসিতার গল্প। পোশাক নিয়েও নাকি দারুণ খুঁতখুঁতে ছিলেন মহানায়ক। তাঁর মন যে দিন যে ভাবে সাজার কথা ভাবত সে ভাবে নিজেকে সাজাতেন। কোনও দিন মন চাইল তো বাঙালি বাবু তিনি। কোনও দিন স্যুট-প্যান্ট-টাইয়ে সাহেব। এই নিয়ে প্রথম দিকে সুপ্রিয়া দেবী পড়তেন মহা ফাঁপরে। যে দিন তিনি ধুতি-পাঞ্জাবি বের করেছেন সে দিন মহানায়কের আবদার তিনি সাহেবি কেতায় সাজবেন। সাহেবি পোশাক বের করলেন ঠিক উল্টোটা চাইতেন। সুপ্রিয়া দেবীও হেরে যাওয়ার পাত্রী নন। ব্যাপারটা বোঝার পরে তিনি খাটের উপরে সাজিয়ে রাখতেন সব ধরনের পোশাক। উত্তমকুমার সেখানে থেকে বেছে নিতেন পছন্দের জামাকাপড়। প্রথম প্রথম এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে খুনসুটিও হত। পরে সুপ্রিয়া দেবীর বুদ্ধির কাছে হার মানতে বাধ্য হতেন তিনি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply