টানেলে ডোবা বাস থেকে ৭ মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ৩৩

দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যাঞ্চলে কয়েক দিন ধরেই চলছে টানা বর্ষণ। ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। এ ছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। ব বন্যার পানিতে ৬৮৫ মিটর দীর্ঘ একটি টানেলে বেশ কয়েকটি যানবাহন ডুবে যায়। সেখানে উদ্ধারকারীরা প্লাবিত সুড়ঙ্গের একটি বাস থেকে একে একে ৭টি মৃতদেহ বের করে আনেন। এখনও সেই টানেলে ১১ জনের মত নিখোঁজ রয়েছেন। বন্যায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উত্তর গিয়াংসাং প্রদেশে, যেখানে ভূমিধস এবং বাড়িঘর ধসে ১৭ জন মারা গেছে এবং আরও নয়জন নিখোঁজ রয়েছে। আরও পড়ুন: বন্যায় বিপর্যস্ত দিল্লি, ভাসছে ঐতিহাসিক লালকেল্লা দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, টানা তিন দিন ধরে চলা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কোরিয়ার ওসোং এলাকায় একটি বাঁধ ধসে মুহূর্তেই ওই এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে যায়। একাধিক গাড়ি পানিতে ভেসে যায়। কোরিয়া রেলরোড করপোরেশন জানিয়েছে, তারা সব ধীর গতির ট্রেন ও কিছু বুলেট ট্রেনকে থামিয়ে দিচ্ছে। অন্য বুলেট ট্রেনগুলো ধীর গতির কাজের কারণে বিলম্বিত হতে পারে। এদিকে, চুংচিয়ং এলাকা থেকে ৬ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: বৃষ্টি নেই, তবু কেন দিল্লিতে ভয়াবহ বন্যা? শনিবার (১৫ জুলাই) দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ৩০০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কোরিয়া আবহাওয়া দফতর থেকে আগামী বুধবার (১৯ জুলাই) পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনীকে সক্রিয়ভাবে উদ্ধার কার্যক্রমে যোগদান, সরঞ্জাম সরবরাহ ও জনবল সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন।