নতুন যে পথে ইরানের অস্ত্র যাচ্ছে রাশিয়ায় ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া এবং ইরানের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। পশ্চিমাদের দাবি, তেহরান মস্কোর অন্যতম নির্ভরশীলতার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্ভরশীলতা এতটাই বেশি যে, রাশিয়ার প্রয়োজনীয় অস্ত্র এবং গোলাবারুদের অন্যতম উৎস হয়ে উঠেছে ইরান। ইউক্রেনের রণক্ষেত্রেও প্রমাণ মিলেছে রাশিয়া ইরানি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রে কাস্পিয়ান সাগর। ছবি: সংগৃহীত এসব না হয় বোঝা গেলো যে, পশ্চিমাদের সঙ্গে ইরানের ঘোরতর দ্বন্দ্ব থাকায় দেশটি রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ হয়েছে এবং অস্ত্র-গোলাবারুদ সরবরাহ করছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো কোন সেই নিরাপদ রুট যা দিয়ে ইরান থেকে রাশিয়ায় নির্বিঘ্নে এসব অস্ত্র-গোলাবারুদ পৌঁছে যাচ্ছে?
উত্তরটা হলো কাস্পিয়ান সাগর। ভূবেষ্টিত এই সাগরটির এক প্রান্তে রয়েছে ইরানের প্রবেশাধিকার এবং অপর প্রান্তে রাশিয়ার। ফলে সাধারণ সাগরের তুলনায় অনেকটাই শান্ত এই সাগর ক্রমেই শিপিং রুট হিসেবে ব্যস্ত হয়ে উঠছে। আরও পড়ুন: যেভাবে পশ্চিমা অস্ত্রের পরীক্ষাগার হয়ে উঠল ইউক্রেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্যবসায় সংক্রান্ত গোয়েন্দা সংস্থা লয়েড’স লিস্ট ইন্টেলিজেন্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ থেকে জানা যায়, আগের বছরের তুলনায় কাস্পিয়ান সাগর দিয়ে নৌযান চলাচলের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। এই তথ্য এমন এক সময়ে প্রকাশ পায়, যার ঠিক আগে ইউক্রেন এবং এর পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো অভিযোগ করে যে, রাশিয়া ইউক্রেনে ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করছে। পশ্চিমা বিশ্বের যদি জানাই থাকে যে, কোন পথ ব্যবহার করে অস্ত্র ইরান থেকে রাশিয়ায় যাচ্ছে তাহলে তারা তা বন্ধ করছে না কেন? এ বিষয়ে বিশ্লেষকদের মত হলো, বিষয়টি এতটা সহজ নয়। কাস্পিয়ান সাগর এমন সব দেশ বেষ্টিত যারা এক সময় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল এবং বর্তমানে অনেকটাই রাশিয়ার প্রভাব বলয়ে। নিরাপত্তা বিষয়ক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইয়েস রিস্ক গ্রুপের শীর্ষ বিশ্লেষক মার্টিন কেলি বলেন, ‘কাস্পিয়ান সাগর হয়ে রাশিয়ার অস্ত্র রফতানিতে ইরানের কোনো ঝুঁকি নেই। কারণ এই সাগরের তীরবর্তী দেশগুলো এতটা শক্তিশালী নয় যে, তারা এই প্রবাহকে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করবে।’ আরও পড়ুন: বৈশ্বিক মেরুকরণ /যেভাবে গভীর হচ্ছে ইরান-রাশিয়া সম্পর্ক কেলি আরও বলেন, এই সাগর তীরবর্তী আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তানতো আগে সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ছিল। ফলে রুশ প্রভাব এখনো এসব অঞ্চলে রয়ে গেছে। তাই কেলির মূল্যায়ন, এই রুট হয়ে ইরান নির্বিঘ্নে রাশিয়ার সঙ্গে তার বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারবে। লয়েড লিস্ট ইন্টেলিজেন্সের প্রতিবেদন বলছে, কাস্পিয়ান সাগরে যত জলযান বিশেষ করে অস্ত্রবাহী জাহাজ রয়েছে সেগুলোর অধিকাংশই রুশ না হয় ইরানি মালিকানাধীন। ফলে আন্তর্জাতিক ম্যারিটাইম অর্গানাইজেশন দিয়ে রুশ এবং ইরানের প্রভাব বলয়ে থাকা এই অঞ্চলে নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভব। ফলে কেলি যেমনটা বলছিলেন যে, এই রুট হয়ে ইরান নির্বিঘ্নে রাশিয়ার সঙ্গে তার বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারবে। তাকে বাধা দেয়ার মতো কোনো শক্তিই এখানে উপস্থিত নেই। তথ্যসূত্র: সিএনএনSlider
দেশ - বিদেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: