এরদোগান-নেতানিয়াহুর বৈঠককে যেভাবে দেখছে ইসরাইলি মিডিয়া

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান আগামী সপ্তাহে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে একটি নজিরবিহীন বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছেন। ইসরাইলি মিডিয়া এই বৈঠক নিয়ে ব্যাপক ইতিবাচক কাভারেজ দিয়েছে। আসন্ন শীর্ষ বৈঠককে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে ইসরাইলি গণমাধ্যমে। দীর্ঘ ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তুরস্ক সফর করবেন কোনো ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। Advertisement তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক ইসরাইলি মিডিয়ার কাভারেজ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনের শুরুতে বলা হয়েছে, পশ্চিমতীরে সাম্প্রতিক হামলা এবং ইসরাইলে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তা ছাড়া অধিকৃত পশ্চিমতীরের জেনিনে সম্প্রতি সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই বৈঠকে বসছেন এরদোগান ও নেতানিয়াহু। টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ১৫ বছরের মধ্যে নেতানিয়াহু হবেন প্রথম ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী, যিনি তুরস্ক সফর করবেন। প্রতিবেদনে বৈঠকের তাৎপর্যও তুলে ধরা হয়েছে। দুই নেতা তুরস্ক-ইসরাইল সম্পর্ক এবং ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আরেক ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ রিপোর্ট করেছে যে, উভয় দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেরগস নিউজ ওয়েবসাইট বৈঠকটিকে একটি ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করার পাশাপাটি এটি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে ১৩ বছর পর বৈঠকের তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, নতুন মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এটি একটি সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। প্রসঙ্গত, গত বছর ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের আঙ্কারা সফরের পর তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যে এক ধরনের সম্প্রীতি তৈরি হয়েছে, যা বিগত বহু বছর ধরে চলা উত্তেজনা হ্রাস করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের পারস্পরিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।