তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিলেই কেবল সুইডেনকে ন্যাটোতে মেনে নেবে আঙ্কারা

তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সদস্য হিসেবে মেনেই নিলেই কেবল তুরস্ক সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার অনুমতি দেবে। সোমবার (১০ জুলাই) এমনটাই শর্ত দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। আঙ্কারায় সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান। ছবি: আনাদোলু এজেন্সি লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর আগে আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান এ কথা বলেন। এরদোয়ান বলেন, ‘প্রথম আপনারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করুন। তারপর আমরা সুইডেনের পথ পরিষ্কার করে দেব, যেমনটা আমরা করেছিলাম ফিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে।’ এরদোয়ান আরও বলেন, ‘তুরস্ক বিগত ৫০ বছর ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে। অথচ ন্যাটোর প্রায় সব দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।’ আরও পড়ুন: হঠাৎ এরদোয়ানকে বাইডেনের ফোন ন্যাটো ১১ জুলাইয়ের মধ্যেই সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্য করে নেয়ার পক্ষপাতী ছিলো। কিন্তু তুরস্ক দীর্ঘ দিন ধরেই সুইডেনের সদস্যপদ প্রাপ্তির বিষয়টি আটকে দিয়ে আসছে। দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিবদমান বিষয় থাকার কারণেই তুরস্ক সুইডেনকে প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না। এদিকে, সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে এরদোয়ানকে টেলিফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে সুইডেনকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হিসেবে দেখতে চান। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার বিষয়টি আটকে রেখেছে তুরস্ক ও হাঙ্গেরি। ন্যাটোর নিয়মানুযায়ী, নতুন সদস্য যুক্ত করতে হলে আগের সব সদস্যদেশের সম্মতির প্রয়োজন হয়। এ পরিস্থিতিতে সামরিক জোটটির শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে এরদোয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বাইডেন। আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে সমর্থন করতে গিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ছে ন্যাটো এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের যোগাযোগ পরিদফতরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মধ্য দিয়ে তুরস্কের চাওয়া পূরণে উদ্যোগ নিয়েছে স্টকহোম। কিন্তু সুইডেনে এখনও কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সমর্থকরা বিক্ষোভ করছেন। এ কারণে স্কটহোমের এসব উদ্যোগ ফলপ্রসূ হচ্ছে না। ফোনালাপে বিষয়টি বাইডেনকে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। লিথুনিয়ার ভিলনিয়াসে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বসতে যাচ্ছে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন। এ সময় সেখানে মুখোমুখি বৈঠকের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বাইডেন ও এরদোয়ান।