উত্তর কোরিয়া সীমান্তে ঢুকে পড়ায় মার্কিন সেনা আটক
অনুমতি ছাড়া সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের এক সেনাকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এক সেনা উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝামাঝি যে অঞ্চলটি বেসামরিক এবং জাতিসংঘ পরিচালনা করে, সেখান দিয়ে তিনি দেশটিতে প্রবেশ করেছেন।
জাতিসংঘ আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওই নাগরিক বিনা অনুমতিতেই আন্তঃসীমান্ত এলাকার পানমুনজম গ্রামে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে ওই ব্যক্তি উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ কমান্ড।
বেসামরিকীকরণ অঞ্চলটি দুই কোরিয়ার সীমান্ত হিসেবে কাজ করে। যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সুরক্ষিত অঞ্চল হিসেবেও পরিচিত।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনও তাদের এক সেনার উত্তর কোরিয়া সীমান্ত অতিক্রমের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে, ‘ইচ্ছে করেই’ ওই সেনা সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীর ‘অধিকৃত নয়’: রন ডিস্যান্টিস
কোরিয়ায় ইউএস আর্মড ফোর্স এর মুখপাত্র কর্নেল ইসাক টেইলর বলেন, দুই কোরিয়ার মধ্যকার যৌথ নিরাপত্তা এলাকা সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একজন সদস্য ‘ইচ্ছাকৃতভাবে এবং অনুমোদন ছাড়াই সামরিক সীমারেখা অতিক্রম করে ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়ায়’ প্রবেশ করেছেন৷
যুক্তরাষ্ট্রের ওই সেনার নাম ট্রাভিস কিং। মার্কিন কর্মকর্তারা সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন, কিং সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি বন্দি কেন্দ্রে সময় কাটিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন গোয়েন্দা বিমান ভূপাতিত করার হুমকি উত্তর কোরিয়ার
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনার আগে শৃঙ্খলাজনিত কারণে ওই সেনাকে পাহারা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল। কিন্তু বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পার হওয়ার পর তিনি কোনোভাবে সেখান থেকে বের হয়ে একটি ট্যুর গ্রুপের সঙ্গে সীমান্তের দিকে চলে যেতে সক্ষম হন।
কোনো মার্কিনির কিংবা দক্ষিণ কোরীয়র সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়ার ঘটনা খুবই বিরল। যদিও উত্তর কোরিয়া থেকে প্রতিবছর পালিয়ে চীন বা দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেয় হাজারো মানুষ।
No comments: