Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ‘ভুল নয়, আপনি ক্রাইম করেছেন’, কক্সবাজার জেলা জজকে হাইকোর্ট




‘ভুল নয়, আপনি ক্রাইম করেছেন’, কক্সবাজার জেলা জজকে হাইকোর্ট কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলকে উদ্দেশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, তিনি আদালতের আদেশ টেম্পারিং করেছেন। তিনি ভুল করেননি, জেনে বুঝে অপরাধ করেছেন। কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল। ছবি: সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। এসময় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল দ্বিতীয় দিনের মতো আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে জেলা জজের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমরা কনটেস্ট করতে চাই না। আমরা আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। আমরা খুবই অনুতপ্ত।’ এ পর্যায়ে হাইকোর্ট জেলা জজকে ডায়াসের সামনে ডেকে আদেশ টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চান। তখন জেলা জজ বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বলেন, ‘ভুলে এটা হয়েছে।’ তখন আদালত বলেন, ‘আপনি ভুল করেননি। আপনি জেনে বুঝে ক্রাইম করেছেন।’ এ সময় তার আইনজীবীরা আবারও ক্ষমা চাইলে হাইকোর্ট বলেন, ‘আপনারা ক্ষমা চাইছেন। অনুতপ্ত হচ্ছেন। কিন্তু জেলা জজের মধ্যে তো কোনো অনুশোচনা নেই। তিনি অনুতপ্তও নন। মন থেকে অনুশোচনা আসতে হয়।’ পরে মোহাম্মদ ইসমাঈল আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জমা দেন। তার ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিষয়টি ২৭ জুলাই আদেশের জন্য রেখেছেন হাইকোর্ট। আরও পড়ুন: হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন কক্সবাজার জেলা জজ এর আগে, কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে এক মামলায় ৯ জনকে জামিন দেন এই বিচারক। জামিন আদেশে আসামিদের হাজতবাসের কথা উল্লেখ থাকলেও তারা হাজতে যাননি। আদেশের এক জায়গায় ছিল, আসামিদের দীর্ঘ হাজতবাস বিবেচনায় নিয়ে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। কিন্তু পরে এই লাইন থেকে ‘দীর্ঘ হাজতবাস’ অংশটি কেটে দেয়া হয়। হাজতে না গেলেও হাজতবাসের বিবরণ উল্লেখ করে জেলা ও দায়রা জজ আসামিদের কীভাবে জামিন দিলেন- সেই ব্যাখ্যা জানাতে তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আসামিদের জামিন মঞ্জুর করে দেয়া কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম (রিনা)। আবেদনকারী পক্ষ জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ ভুট্টোসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে জমির দখল নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী দ্রুত বিচার আদালতে নালিশি মামলা করেন খোদেস্তা বেগম। এ মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন আসামিরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ এপ্রিল তাদের ৬ সপ্তাহের মধ্যে কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেশ আদালত। গত ২১ মে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালত ৯ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই দিন এর বিরুদ্ধে আসামিরা কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত সব আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন খোদেস্তা বেগম। আরও পড়ুন: বিচারপতিকে ফোন: হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন জানান, আসামিরা ২১ মে দুপুর ১২টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগেই চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আদেশের কপি পাননি উল্লেখ করে সকাল ১০টার দিকে আদেশের বিরুদ্ধে জামিনের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হলফনামাসহ আবেদন করেন আসামিরা। জেলা জজ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আদেশে উল্লেখ করা হয়, হাজতবাসের মেয়াদসহ সার্বিক বিবেচনায় আসামিদের জামিন মঞ্জুর করা হয়। অথচ ৯ আসামি হাজতেই ছিলেন না। হাইকোর্টের শুনানিতে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ আসামিদের কীভাবে জামিন দিলেন - সেই ব্যাখ্যা জানাতে তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই মোতাবেক হাইকোর্টে হাজির হন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply