কোরিয়া যুদ্ধের ৭০ বছর পিয়ংইয়ংয়ে রুশ ও চীনা প্রতিনিধিদল
কোরিয়া যুদ্ধ সমাপ্তির ৭০ বছর উদযাপনে অংশ নিতে পিয়ংইয়ং সফরে গেছেন রুশ প্রতিনিধি দল। এছাড়া জমকালো এ আয়োজনে অংশ নেবে চীনও। করোনা মহামারির পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রথম উত্তর কোরিয়ায় কোনো বিদেশি প্রবেশের সুযোগ পেল।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) পিয়ংইয়ংয়ের একটি বিমানবন্দরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে (মাঝে) স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষমন্ত্রী ক্যাং সুন (বাঁয়ে)। ছবি: রয়টার্স
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় সময় রাতে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এসময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান দেশটির প্রতিরক্ষমন্ত্রী ক্যাং সুন নামসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা।
এ সফরের মাধ্যমে দু দেশের দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার জমকালো এ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা লি হংজংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
আরও পড়ুন: কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা তুঙ্গে
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) উদযাপন করা হবে উত্তর কোরিয়ার ৭০তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে পিয়ংইয়ং। স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী দিবসটি উপলক্ষে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কোরীয় যুদ্ধে নিজেরা বিজয়ী হয়েছে বলে দাবি করে আসছে পিয়ংইয়ং। যদিও আন্তর্জাতিকভাবে এ যুদ্ধকে অমিমাংসিত হিসেবেই দেখা হয়।
২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী করোন মহামারি শুরুর পর সীমান্ত সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। এমনকি নিজ দেশের নাগরিকদের প্রবেশেও বাধা আরোপ করে পিয়ংইয়ং। এরপর এবারই প্রথম রুশ এবং চীনা কর্মকর্তাদের দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিল তারা।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সাবমেরিন, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া
এমন এক সময় উত্তর কোরিয়া তাদের বিজয় দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া এবং পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় উত্তেজনা বিরাজ করছে কোরীয় উপদ্বীপে।
এছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানকে সমর্থন করে আসছে দেশটি। আর পিয়ংইয়ংয়ের ওপর জাতিসংঘ, ইইউ, জি-সেভেনভুক্ত দেশসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি চীন-রাশিয়া।
No comments: