গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা নিয়ে নতুন দ্বন্দ্ব ইরান-সৌদির
সম্পর্ক জোড়া লাগানোর উদ্যোগের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের চিরবৈরী দুই দেশ সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে দেখা দিয়েছে নতুন বিরোধ। আরব উপসাগরের দুরা গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা নিয়ে ইরানের সঙ্গে কুয়েত ও সৌদি আরবের শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
দুরা গ্যাসক্ষেত্র। ছবি: সংগৃহীত
চীনের মধ্যস্থতায় চির প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর মধ্যপ্রাচে বইতে শুরু করেছে শান্তির সুবাতাস। দীর্ঘ দিন পর কূটনৈতিক মিশন চালু করেছে দেশ দুটি। রিয়াদ-তেহরান সম্পর্ক উন্নয়নের মধ্যেই হঠাৎ করেই দেশ দুটির মধ্যে দেখা দিয়েছে বিরোধ।
হঠাৎ করেই পারস্য উপসাগরের দুরা গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা নিয়ে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালেন কুয়েতের জ্বালানি মন্ত্রী সাদ আল বারাক।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ বাংলাদেশ-ইরানের
সৌদি সংবাদ মাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, দুরা গ্যাসক্ষেত্রটির ওপর কুয়েত ও সৌদি আরবের একচেটিয়া অধিকার রয়েছে।
তেহরানকে গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা দাবি করার আগে নিজেদের সমুদ্রসীমা চিহ্নিত করার আহ্বান জানান তিনি। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এলাকাটির পূর্ব সীমান্ত চিহ্নিত করার জন্য রিয়াদ ও কুয়েতের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সাদ আল বারাক বলেন ‘এখন পর্যন্ত দুরা গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা শুধুমাত্র কুয়েত এবং সৌদি আরবের। অন্য কেউ মালিকানা দাবি করলে তাকে আগে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে হবে। তারপর যদি অধিকার পায়। তাহলে আন্তর্জাতিক আইন মেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা
এর আগে, গ্যাসক্ষেত্রটির মালাকানা নিয়ে সৌদি আরব এবং কুয়েতের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিকে অবৈধ হিসেবে আখ্যা দেয় ইরান। এরপরই কুয়েতের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য দেয়া হলো।
তবে সংকট সমাধানে বিষয়টি নিয়ে কুয়েতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার কথা জানিয়েছেন ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। ১৯৬৭ সালে তেলক্ষেত্রটি আবিষ্কৃত হয়। এতে প্রমাণিত মজুত রয়েছে ২০ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস।
No comments: