Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » কূটনীতিকদের তৎপরতা ও অস্থিরতা রাজনৈতিক কর্মীর মতো কেন




কূটনীতিকদের তৎপরতা ও অস্থিরতা রাজনৈতিক কর্মীর মতো কেন নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলেই তৎপর হয়ে ওঠেন বিদেশি কূটনীতিকরা। তাদের তৎপরতা পুরোটাই রাজনৈতিক দলের মতো হয়ে যায়। সরকারি দল এই শিষ্টাচার লঙ্ঘনের বিরোধিতা করলেও, বিরোধীদলগুলো ঠিকই তাদের কথা আমলে নেয়। কখনও-কখনও তাদের আরও তৎপর হতে উসকানি দেয়। দূতাবাসে গিয়ে ধরনা দিতেও দেখা যায়। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও কূটনীতিকরা। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও কূটনীতিকরা। জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ৮ মিনিটে পড়ুন বিশ্লেষকরা বলছেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে কিছু নিয়ম-নীতি মেনেই বিভিন্ন দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা সার্বজনীন। কিন্তু বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ এই সব নিয়মের তোয়াক্কা করে না। এসব দেশের কূটনীতিকদের তৎপরতা একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল। বুধবার (১৯ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও সেই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অ্যাকটিভিস্ট কূটনীতিকদের বলতে চাই- আমেরিকাতে যখন-তখন লোক মেরে ফেলে। তারা কি কখনো বিবৃতি দেয়? জাতিসংঘ কি কোনো দিন বিবৃতি দিয়েছে? বলেছে যে আমেরিকাতে লোক মরে যায় কেন? ক্যামব্রিজে ফয়সাল নামের একটি বাংলাদেশি ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, তারা কি বলেছে ছেলের তদন্ত কতদূর হয়েছে? কিংবা রাষ্ট্রদূতরা কি দল বেঁধে কোনো বিবৃতি দিয়েছে? তাদের জিজ্ঞেস করেন না কেন?’ ভিয়েনা কনভেনশনের তোয়াক্কা করছেন না কূটনীতিকরা বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা যেসব তৎপরতা চালাচ্ছেন, তা ভিয়েনা কনভেনশনের মধ্যে পড়ে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আতিকুর রহমান। আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংগঠনের মতো তৎপর ঢাকার মার্কিন দূতাবাস তিনি বলেন, তাদের তৎপরতা ভিয়েনা কনভেনশনের মধ্যেই নেই। বাংলাদেশে তারা যেসব কার্যক্রম চালায়, তাতে তারা কোনো কনভেনশন মানেন না। ফ্রান্সে যে আন্দোলন হচ্ছে, সেখানে তো বাংলাদেশের দূতাবাস আছে। কিন্তু তারা কোনো বিবৃতি দেয়নি। একটি জিনিস বুঝি না, সেখানে কতগুলো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, কতগুলো মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কী হুলস্থুল অবস্থা, সেখানে তো কোনো দূতাবাস থেকে বিবৃতি দেয়া হয়নি। ‘আমরা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কখনো কোনো বিবৃতি দেইনি। এমনকি ফ্রান্সের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দূতাবাসও কোনো বিবৃতি দেয়নি।’ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কেন এমন হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (বিদেশি কূটনীতিক) মাথায় তুলে নাচি। আমাদের দোষেই তারা এগুলো করতে সাহস পান। আমাদের জন্য। আমরা নিজেদের সম্মান নিজেরাই নষ্ট করেছি। নিজেদের কোনো ব্যক্তিত্ব রাখিনি। রাজনীতিবিদরা আমাদের দেশের মানসম্মান শেষ করে দিয়েছে।’ এসব দেখে অসম্ভব খারাপ লাগার কথা জানিয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘কীভাবে তারা এসব করতে সাহস পান? তারা এমনভাবে বিবৃতি দেন, যেন তাদের অধীনে আমাদের দেশ চলে। আজ আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের মতো কোনো শক্তিশালী দেশ হতাম, তারা এসব করতে সাহস করতেন না।’ বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতা পরিষ্কারভাবে ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ওয়ালিউর রহমান। সময় সংবাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, কূটনীতিকদের অ্যাকটিভিজমের কোনো জায়গা নেই। পৃথিবীর কোনো দেশে তারা এ রকম ব্যবহার করতে পারেন না, করেন না। ‘আফ্রিকাতে তারা হয়ত করেন, আমি ঠিক জানি না। আগে তারা সেখানে উপনিবেশ তৈরি করেছে, লুটপাট করেছে। ইউরোপের শ্বেতাঙ্গরা আফ্রিকাকে লুট করেছে। এখন লুট করতে না পারলেও তারা দেখাতে চায়, তারা আমাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ,’ বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঠিক কথাই বলেছেন। আমি তার সঙ্গে পুরোপুরি একমত। কারণ বিদেশি কূটনীতিকরা এখানে যা করছেন কিংবা বলছেন, তা তাদের উচিত না। আমরা খুবই সতর্ক এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করিনি। আর এটিই প্রাথমিক ভুল। তাদের এসব করতে দেয়া উচিত না। ভিয়েনা কনভেনশন যা বলছে তবে শুধু গত নির্বাচনই নয়, বরং বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক সংকট এলেই তৎপর হতে দেখা যায় বিদেশি কূটনীতিকদের। এসব তৎপরতাকে সরকারি দল খুব একটা পাত্তা দেয়নি। কিন্তু বিরোধীদলগুলো সবসময়ই সমর্থন করে আসছে। আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা, ঢাকায় ১৩ দূতাবাসের নিন্দা ভিয়েনা কনভেনশনের ৪১ নম্বর ধারার এক নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি অন্য কোনো দেশে কূটনীতিকের মর্যাদা ও সুবিধা ভোগ করেন, তারা ওই দেশের আইন ও নীতি মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন। এছাড়া তারা ওই দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। এই ধারার আরও দুটি উপধারা রয়েছে। যেমন- ধারার দুই নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, কূটনীতিকদের সব ধরনের দাফতরিক কাজ, যা প্রেরক দেশ কূটনীতিক মিশনের ওপর ন্যস্ত করবে, তা গ্রাহক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা এ সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হতে হবে। আর তিন নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, কূটনীতিকরা তাদের মিশন অফিসের প্রাঙ্গণ, তাদের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারবেন না। চুক্তিতে আরও বলা হয়, কূটনীতিক সম্পর্ক হবে দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে। এছাড়া ভিয়েনা কনভেনশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারা বা আর্টিকেল ৯-এ বলা হয়েছে, যেকোনো দেশ ওই দেশে নিযুক্ত অন্য দেশের কূটনীতিককে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ বা অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করতে পারে। ওই কূটনীতিক সংশ্লিষ্ট দেশে পৌঁছানোর আগেই তাকে অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করা যায়। একটি দেশের কূটনীতিক মিশনের প্রধানসহ ওই মিশনে কর্মরত যেকোনো ব্যক্তিকে অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে নিযুক্ত ওই কূটনীতিককে প্রেরক দেশ হয় বরখাস্ত করবে অথবা ফিরিয়ে নেবে। যদি যথাযথ সময়ে ওই দেশ তাদের কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিতে না পারে তাহলে গ্রাহক দেশ ওই কূটনীতিককে তার বিশেষ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নাকচ করতে পারে। ফয়সাল হত্যা ও মানবাধিকারের রাজনীতি গেল ৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সৈয়দ ফয়সাল আরিফ প্রাণ হারান। এ ঘটনায় দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। যেই দেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার নিয়ে সরব থাকে, সাজা হিসেবে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করে, সেই দেশেই পুলিশের গুলিতে নিরীহ মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছেন; অথচ তার কোনো বিচার হচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক ও কলাম লেখক অজয় দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর পুলিশের হাতে গড়ে ১ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। এটি আমার না, ওয়াশিংটন পোস্টের খবর। কাজেই নিজের দেশেরই যখন এমন অবস্থা, তখন তারা কীভাবে বলে বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই।’ তার মতে, বাংলাদেশে পুলিশের হাতে নিপীড়নের সংখ্যা এত সংখ্যক কেন, এর ধারেকাছেও নেই। এক-দুজন হলেই সেটা একটি বড় আলোড়ন ওঠে। কিন্তু প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার মানুষ বন্দুক হামলার শিকার হন। আরও পড়ুন: বিদেশি কূটনীতিকদের পক্ষে টানতে আ.লীগ-বিএনপির দৌড়ঝাঁপ তিনি আরও বলেন, ‘সে (ফয়সাল) যদি ছুরি নিয়ে পুলিশকে তাড়াও করে, তার মানে তো তাকে হত্যা করা যাবে না। তাকে গ্রেফতার করা যেত। তার হাতে ছুরি থাকলেও মার্কিন পুলিশ, যারা অনেক সুপ্রশিক্ষিত, বিশালদেহী ও স্বাস্থ্যবান, তারা তাকে কাবু করতে পারবে না? আর ফয়সাল তো সুপ্রশিক্ষিত কেউ না। তাকে কেন হত্যা করতে হবে? এখন আমরা আশা করব, তার পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পায় ও ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়।’ অজয় দাশগুপ্তের মতে, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রের অনুমোদন নিতে তেমন প্রতিবন্ধকতা নেই, সেহেতু সেখানে লোকজন সহজেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। সম্প্রতি ছয় বছরের একটি শিশু এক শিক্ষককে গুলি করে হত্যা করেছে। দেশটিতে পুলিশের হাতে নিহতদের ৯৮ দশমিক ১ শতাংশের কোনো বিচার হয় না। এ জন্য কাউকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় না। যতলোক গড়ে মারা যাচ্ছেন, এর বাইরে খুন-জখম, হাজার হাজার লোক গুপ্তহত্যার শিকার হচ্ছেন। একাত্তরে মার্কিন অস্ত্রে বাঙালি হত্যা ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়েই পাকিস্তানি বাহিনী নিরীহ বাঙালিদের হত্যা করেছে, এমন তথ্য দিয়ে অজয় দাশগুপ্ত বলেন, কিন্তু আমাদের দেশের যখন যুদ্ধাপরাধের বিচার চলে, তখন তারা আদালতে গিয়ে হাজির হতে চেয়েছিল। বিচার ঠিকমতো হচ্ছে কিনা; সেই খোঁজ নেয়। আমাদের এখানে ১৯৭১ সালে প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তারা (পাকিস্তানি বাহিনী) গোপনে কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেনি। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ রাত থেকে হত্যাকাণ্ড শুরু করে। তারা যাকে সামনে পেয়েছে, মেরে ফেলেছে। তিনি বলেন, ইয়াহিয়া খানকে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র ও অর্থ দিয়েছে। জাতিসংঘের সমর্থন দিয়েছে। আমেরিকার ভেতর থেকে নিন্দার দাবি উঠলে বলা হয়েছে, এটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়, আমাদের কিছু বলার নেই। ‘এখন আমাদের বক্তব্য, বাংলাদেশে যখন অন্যায় কিছু ঘটে, তারা বললে আমরা তা মেনে নিই। আমরা সেটার তদন্ত করি ও জবাব দিই। কিন্তু অনেক সময় বিষয়টি এমনভাবে বলে যে বাংলাদেশে কী ঘটছে, না-ঘটছে, সবকিছুতে বলার অধিকার বা কর্তৃত্ব তাদের আছে। কাজেই আমরা দাবি করব, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের ওপর যাতে অন্যায় কিছু না ঘটে। যদিও ঘটে থাকে, তাহলে যাতে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়,’ বলেন এই সাংবাদিক। ‘যুক্তরাষ্ট্র কী অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সুযোগ দেবে?’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশই চূড়ান্ত নির্ভুল নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কী নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করতে অন্য দেশের কূটনীতিকদের সুযোগ দেবে?’ তার মতে, কূটনীতিকরা কথা বলতে পারছেন এ কারণে; যেহেতু তাদের একটা প্ল্যাটফর্ম দেয়া হচ্ছে। তারা নিজেদের ইচ্ছায় প্রেস কনফারেন্স করছেন, এমনটা না। সুযোগটা দেয়া হচ্ছে বলেই তারা কথা বলছেন। আবার এটিও হতে পারে যে, এ বিভাজনের রাজনীতি তাদের স্বার্থ আদায়ে কাজে দেয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ বলেন, বিরোধীদলও বিদেশিদের আশীর্বাদ নিয়ে নির্বাচনে যায়। তাই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তাদের হস্তক্ষেপ বেড়ে গেছে। ২০১৮ সালে দেখলাম বার্নিকাট যখন বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত; তখন বিএনপি নির্বাচনে গেল। আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে মগের মুল্লুক পেয়েছে ওরা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, কূটনীতিকদের শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যে রাজনৈতিক ইন্ধনের বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। কিন্তু রাজনৈতিক প্ররোচণা থাকলেও দেশের বাইরে ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে নিজেদের কার্যক্রম চালাতে হবে একজন কূটনীতিককে। এ অধ্যাপক আরও বলেন, ‘আমরা তাদের বিভিন্ন জায়গায় আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে যাই, তারা যখন সরকারি ও বিরোধীদলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন, তখন তা ফলাও করে প্রচার করা হয়। এ প্রচারে কূটনীতিকদের চেয়ে আমাদের লোকজনই বেশি আগ্রহী। এসব কারণে আমরা নিজেরাও দায় এড়াতে পারি না।’ অথচ বিভিন্ন দেশে কূটনীতিকরা যখন কাজ করেন, তখন নিরবে কাজ করেন বলে জানান আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে তারা (কূটনীতিকরা) যখন কোনো রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেখা করেন, তা ফলাও করে প্রচার করা হয় না। কারণ এটা তাদের রুটিন কাজ। কিন্তু আমরা তাদের প্রচারণার মধ্যে নিয়ে আসি নিজেদের স্বার্থে। যেমন- জাপানের রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি যে মন্তব্য করেছেন, তা তিনি একটা প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন। তাকে এই ধরনের আয়োজনে নিয়ে এসে প্রশ্ন করার প্রবণতা আমাদের মধ্যে রয়েছে। ভারতে রাষ্ট্রদূতরা যখন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন, তখন কোনো সংবাদই হয় না বলে জানান তিনি। এ অবস্থায় অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রশ্ন এলে কূটনীতিকদের আরও সচেতনভাবে মন্তব্য করা উচিত বলে মনে করেন অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply