মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
আরও এক প্রতিদ্বন্দ্বী বাড়ল ট্রাম্পের, প্রার্থী হলেন মিয়ামির মেয়র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে এরই মধ্যে প্রাথমিক লড়াইয়ে নেমেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, মাইক পেন্স, ক্রিস ক্রিস্টি এবং রন ডিস্যান্টিস। এবার এই চার জনের সঙ্গে নাম লেখালেন আরও এক প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি মিয়ামির মেয়র ফ্রান্সিস সুয়ারেজ। ফলে রিপাবলিকান পার্টিতে চূড়ান্ত দলীয় মনোনয়ন পাওয়া লড়াইয়ে ট্রাম্পের আরও এক প্রতিদ্বন্দ্বী বাড়ল।
ফ্রান্সিস সুয়ারেজ। ছবি: এপি
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নিজ অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডার মিয়ামির মেয়র ফ্রান্সিস সুয়ারেজ পঞ্চম ব্যক্তি হিসেবে রিপাবলিকান পার্টি থেকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ঘোষণা করেছেন।
বুধবার (১৪ জুন) সুয়ারেজ ফেডারেল নির্বাচন কমিশনে নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন। তাকে নিয়ে রিপাবলিকান পার্টির চার প্রার্থীর মধ্যে তিনজনেরই মূল ঘাঁটি ফ্লোরিডা।
উল্লেখ্য, মাইক পেন্স একসময় ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছায়াসঙ্গী। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তার শাসনামলে সামলেছেন ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব। সেই মাইক পেন্সই তীব্রভাবে আক্রমণ শানিয়েছেন তার সাবেক বসের বিরুদ্ধে। ট্রাম্পের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগীই এবার হয়ে উঠেছেন ট্রাম্পের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন /ট্রাম্পের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাইক পেন্স
২০২৪ সালে হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন দৌড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়াও রয়েছেন, ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস, নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি। এ প্রতিযোগিতায় এবার সামিল হলেন ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দলীয় মনোনয়নে বেশি সংখ্যক প্রার্থী থাকায় ট্রাম্প বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাবে একাধিক প্রার্থীর মধ্যে। তাই দলে ট্রাম্পের একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় মনোনয়নের দৌড়ে উল্টো লাভবান হবেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মে মাসে প্রকাশিত এক জরিপে দেখা যায়, ৪৪ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। এক্ষেত্রে পেন্সের সমর্থন মাত্র ৫ শতাংশ।
No comments: