অ্যাসাঞ্জকে শিগগিরই প্রত্যাবাসন করা হতে পারে, উদ্বেগ আরএসএফের
উইকিলিকস এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। খবর ডনের।
উইকিলিকস এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: সংগৃহীত
২০২২ সালের এপ্রিলে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। জুনে সেই আদেশে স্বাক্ষর করেন দেশটির তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল । এই আদেশের বিরুদ্ধে আটটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে অ্যাসাঞ্জ আপিল করেছিলেন। গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের হাইকোর্টের বিচারক জনাথন সুইফট সেই আপিল খারিজ করে দেন।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এক বিবৃতিতে আরএসএফ এর প্রচারাভিযানের পরিচালক রেবেকা ভিনসেন্ট বলেন, ‘আদালতের আদেশ অ্যাসাঞ্জকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। ২০১০ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের প্রায় ৭০ হাজার নথি প্রকাশের জন্য তাকে বাকি জীবন কারাগারে কাটাতে হবে।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, এটি অযৌক্তিক যে একজন বিচারকের তিন পৃষ্ঠার একটি রায়ে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে তার বাকি জীবন কারাগারে কাটাতে হবে। এই রায় সারা বিশ্বের সাংবাদিকতার পরিবেশকে স্থায়ীভাবে প্রভাবিত করতে পারে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে জয়ী অ্যাসাঞ্জ
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি আমাদের আহ্বান জরুরী ভিত্তিতে এই অভিযোগগুলো প্রত্যাহার করুন। অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ করুন এবং অবিলম্বে তার মুক্তির অনুমতি দিন।’
আপিল খারিজের পর অ্যাসাঞ্জ অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে আর আপিল করতে পারবেন না তবে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে এই মামলা নিয়ে যেতে পারবেন।
২০০৬ সালে উইকিলিকস চালু করেন অ্যাসাঞ্জ। এতে তিনি একের পর এক গোপন মার্কিন নথিপত্র প্রকাশ করতে থাকেন। ২০১০ সালের জুলাইয়ে উইকিলিকস আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের প্রায় ৭০ হাজার নথি প্রকাশ করেছিল। এসব তথ্য পরে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন: অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দাবিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে মানববন্ধন
এ কারণে বিব্রত যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। এরপর থেকে গ্রেফতার এড়াতে সাত বছর ধরে যুক্তরাজ্যের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সেখান থেকে ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ।
Tag: English News lid news others world
No comments: