Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » ভারতীয় ভিসা বন্ধ থাকায় বিপাকে আফগান শিক্ষার্থীরা




আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে নতুন কোনো ভিসা ইস্যু করছে না ভারত। ফলে উচ্চশিক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন কয়েক হাজার আফগান ছাত্রছাত্রী। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ভারতের জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস। ছবি: আল জাজিরা আফগান ছাত্রী ইয়াসমিন আজিমি ভারতে নতুন করে পড়াশোনা শুরু করতে দুই বছর ধরে ভিসা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কাবুলের ২২ বছর বয়সী এই তরুণীর দাবি, তিন দফায় তার ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)-এর বৃত্তি নিয়ে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অধ্যয়নের জন্য স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছিলেন ইয়াসমিন। ওই বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতার দখল নেয় তালেবান। এরপর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্টুডেন্ট ভিসাসহ সব ধরনের আফগান ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এতে ভারতে ইয়াসমিনের নতুন করে পড়াশুনার শুরুর পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে পৌরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই ভিসা না পেয়ে বাধ্য হয়ে অনলাইনে কোর্সে যোগ দেন ইয়াসমিন। কিন্তু এর মধ্যে আট মাস পেরিয়ে গেলেও তার পরীক্ষার ফলাফল এখনও ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। ইয়াসমিনের কথায়, ‘এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া নেই। এভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না।’ আফগানিস্তানে ইন্টারনেট দুর্বল হওয়ায় অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ইয়াসমিনকে। তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর দিল্লির সঙ্গে কাবুলের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভেঙে যায়। ভারত সরকার তার কাবুল দূতাবাসও বন্ধ করে দেয়। গত আগস্টে দিল্লি তার দূতাবাসে সীমিত কার্যক্রম পুনরায় শুরু করলেও ভিসা সুবিধা এখনও চালু হয়নি। ভিসার বদলে আফগান নাগরিকদের ই-ভিসা প্রোগ্রামের অধীনে আবেদন করার নির্দেশনা দিয়েছে দিল্লি। তবে এই ভিসার মেয়াদ ছয় মাস। গত বছর মাত্র ৩০০ আফগানকে ই-ভিসা দেয়া হয়েছিল। এর মানে ইয়াসমিন ও তার মতো আরও কয়েক হাজার আফগান শিক্ষার্থীকে আরও অপেক্ষা করতে হবে। আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার ৫ দিন পর ফের যাত্রা শুরু করল করমণ্ডল এক্সপ্রেস ই-ভিসার জন্য আবেদন করা সহজ। বিজনেস কার্ড, আইডি ও আমন্ত্রণপত্রের মতো মৌলিক কিছু নথি থাকলে ই-ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। কিন্তু দিল্লিতে আফগান দূতাবাস জানিয়েছে, ভিসা না পাওয়ার কারণে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে নথিভুক্ত ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। বাধ্য হয়ে তারা এখন ইউরোপ, তুরস্ক, ইরান ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে শুরু করেছেন। একে অপরের সঙ্গে সংস্কৃতি বিনিময়ের লক্ষ্যে ১৯৫০ সালে ভারতের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০১ সালে তালেবান সরকারের পতনের পর পশ্চিমা সমর্থিত আফগান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিষ্ঠানটি ফিবছর স্নাতক ও স্নানকোত্তর স্তরে পড়াশুনার জন্য ১ হাজার আফগান শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিত। আরও পড়ুন: লিভ-ইন পার্টনারকে টুকরো টুকরো করলেন প্রেমিক ওই প্রকল্পের আওতায় একজন শিক্ষার্থীকে ভাতা হিসেবে মাসে ২৫ হাজার রুপি ও ঘরভাড়া হিসেবে ৬ হাজার ৫০০ রুপি দেয়া হত। আইসিসিআরের বৃত্তি প্রকল্পে হাজার হাজার আফগান শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে। বর্তমানে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply