যেভাবেই হোক তেলের দাম বাড়াবে সৌদি আরব: নিউইয়র্ক টাইমস
তেলের দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে গত রোববার ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর বৈঠকে দিনে ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয় বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব। এ ঘোষণা দেওয়ার পরদিন সোমবার বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেল ও গ্যাসের দাম বেড়ে যায়। এদিন এশিয়ার বাজারে অপরিশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম দুই দশমিক চার শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি প্রায় ৭৭ ডলার বেড়ে যায়।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের এমন সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায় অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একধরনের উত্তেজনা আছে। যেভাবে তাদের মধ্যে তেল উৎপাদন কোটার বিন্যাস হলো, ফলে এক কঠিন সমীকরণের আভাস পাওয়া যায়। এ কারণে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ভারসাম্যের মধ্যে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু সৌদি আরব তেল উৎপাদন কমানো ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত নিজেদের তেল উৎপাদনের কোটা বাড়িয়েছে, এজন্য অনেক দিন ধরে আলোচনা করে আসছিল তারা। এদিকে অন্য দেশগুলোর তেল উৎপাদনের কোটা কমেছে। আবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের উৎপাদনের কোটা বাড়ানোয় খুশি হয়নি আফ্রিকার দেশগুলো।
রোববার মূলত সৌদি আরবের নেতৃত্বে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে সৌদি আরবের উৎপাদন কমানো ঘোষণা শুধু জুলাই মাসের জন্য, পরে তা বাড়তেও পারে। বৈঠক মুখ্য বিষয় ছিল, তেলের দাম ধারাবাহিকভাবে কমে যাওয়া। এক কথায়, তেলের দাম বাড়াতে সবকিছু করতে প্রস্তুত সৌদি আরব।
আরবিসি গ্লোবাল মার্কেটসের বৈশ্বিক পণ্য কৌশল বিভাগের প্রধান হেলিমা ক্রফট বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে এক নোটে লিখেছেন, সৌদি আরব এককভাবে দাম বাড়ানোর দায়িত্ব নিতে চাইছে, এতে বোঝা যায়, উৎপাদন কমানো বিষয়টি কতটা বিশ্বাসযোগ্য। বোঝা যাচ্ছে, বাজারে সরবরাহ কমবে।
No comments: