আলোচনায় বসতে যে শর্ত দিলেন পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন। তবে এর জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। খবর আল জাজিরার।
ক্রেমলিনে বৈঠক রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স
মঙ্গলবার (১৩ জুন) ক্রেমলিনে রুশ সামরিক ব্লগারদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনে নিপ্রো নদীতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ উড়িয়ে দেয়ার ঘটনার পর মোড় নিয়েছে চলমান যুদ্ধ। রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে পাল্টা লড়াই জোরদার করেছে কিয়েভ। ঘটনার শুরু থেকেই পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছে দেশ দুটি। তবে এবার বাঁধ ধ্বংসের জন্য সরাসরি ইউক্রেনকে দায়ী করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।
নিপ্রো নদীতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ ইউক্রেন ধ্বংস করেছে দাবি করে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া রকেট ব্যবহার করেই এই বাঁধ উড়িয়ে দিয়েছে জেলেনস্কি বাহিনী।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে দ্বিধা করবে না বেলারুশ: লুকাশেঙ্কো
তিনি বলেন, বাঁধ ধ্বংস করতে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে হিমার্স রকেট ব্যবহার করেছে। হয়তো সেখানে তাদের কোন প্ল্যান্ট ছিল। আমি সেটা জানি না। নিপ্রো নদীর বাঁধ নিয়ে আমাদের কোন আগ্রহ নেই। উল্টো এই বাঁধ ধ্বংস করে নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছে।
পুতিন আরও বলেন, বিভিন্ন দিক থেকে ইউক্রেনীয় সেনারা আক্রমণ করছে। তবে অনেক এলাকাতে জেলেনস্কি বাহিনী সফল হতে পারেনি।
রাশিয়ার চেয়ে ইউক্রেনের দশগুণ বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন পুতিন। এরইমধ্যে ইউক্রেনীয় সেনারা তাদের সাঁজোয়া যানের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশই হারিয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রুশ হামলায় ইউক্রেনে ৬ জন নিহত
চলমান যুদ্ধের জন্য আবারও পশ্চিমাদের দায়ী করে পুতিন বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া শুরু থেকেই আলোচনার পক্ষে ছিল এবং এখনও আছে। তবে পশ্চিমাদের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। অস্ত্র-গোলাবারুদ সরবরাহ করে পশ্চিমারাই এই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি থেকে সরে আসার হুমকিও দিয়েছেন পুতিন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মস্কোর সঙ্গে প্রতারণা করেছে পশ্চিমারা। ইউক্রেনের শস্য দরিদ্র দেশগুলোতে দেয়ার কথা থাকলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ধনী দেশগুলোকেই ৪০ শতাংশ সরবরাহ করা হচ্ছে। এটিকেই ইউক্রেনের বৈদেশিক আয়ের প্রধান ক্ষেত্র বলে উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
No comments: