অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য মজুতের শাস্তি যাবজ্জীবন, সংসদে বিল
অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য মজুতের শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রেখে একটি নতুন আইনের খসড়া জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। খাদ্যদ্রব্য বলতে যেকোনো প্রকার দানাদার খাদ্যদ্রব্য অর্থাৎ চাল, ধান, গম, আটা, ভুট্টা ইত্যাদিকে বোঝানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) বিল ২০২৩’ সংসদে তোলেন।
daraz
একইসঙ্গে খাদ্য বাজারজাত করার ক্ষেত্রে খাবারের প্রকৃত নাম পরিবর্তন করে ‘কাল্পনিক নামে’ খাদ্যদ্রব্য বিক্রি এবং খাদ্য অধিদপ্তরের প্রদত্ত ‘বিতরণ সিল’ বা ‘বিতরণ করা হয়েছে’ এমন চিহ্নযুক্ত সিল ছাড়া সরকারি গুদামের খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ বিতরণ, স্থানান্তর, ক্রয় বা বিক্রয় করলে দুই বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে আরও উল্লেখ করা হয়, কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন সম্পর্কিত কোনো মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি তৈরি, মুদ্রণ, প্রকাশ, প্রচার বা বিতরণ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে।
এ ছাড়া লাইসেন্স ছাড়া বা মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা চালালে দুই বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে।
বিলটি পরীক্ষা করে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আদালত থাকবে। এই আদালত ‘খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত’ নামে অভিহিত হবে। এ আইনের অধীনে কিছু অপরাধের বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতেও করা যাবে।
Tag: English News politics
No comments: