Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » বাঁধের পানি সেচে ফেলা সেই কর্মকর্তাকে ২১ লাখ রুপি জরিমানা




ডুবে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে সরকারি পানি সংরক্ষণাগারের ২১ লাখ লিটার পানি সেচে ফেলে প্রশাসনের নজরে আসেন সরকারি কর্মকর্তা রাজেশ বিশ্বাস। সাময়িক অব্যাহতির পর এবার তাকে ২১ লাখ রুপি জরিমানা করেছে ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্য প্রশাসন। খবর এনডিটিভির। ফাইল ছবি প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অপচয় হওয়া পানির পরিমাণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নির্ধারণ করা হয়েছে জরিমানার অঙ্ক। কাঁকের জেলার কালেক্টর (জেলা প্রশাসক) প্রিয়াঙ্কা শুক্লা অভিযুক্ত কর্মকর্তা রাজেশ বিশ্বাসের বেতন থেকে প্রতি মাসে কিস্তিতে জরিমানার অর্থ কেটে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বেশ কয়েক দিন আগে ছত্তিশগড় রাজ্যের কাঁকের জেলার কোইলিঝোড়া ব্লকের (মহকুমা) খাদ্য দপ্তরের কর্মকর্তা রাজেশ বিশ্বাস জেলার খেরকাট্টা পানি সংরক্ষণাগারে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে বাঁধের ওপর সেলফি তোলার সময় তার এক লাখ টাকা মূ্ল্যের মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে যায়। সেই ফোন খুঁজে বের করতে লোক ডেকে ১৫ ফুট গভীর বাঁধের পানি ৩ দিন ধরে পাম্পের মাধ্যমে তুলে ফেলে দেন রাজেশ। এতে নষ্ট হয় অন্তত ২১ লাখ লিটার পানি ও সংরক্ষণাগারের পানির গভীরতা ১৫ ফুট থেকে ৫ ফুটে নেমে যায়। আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে বাস খাদে পড়ে ৮ তীর্থযাত্রী নিহত ছত্তিশগড় রাজ্যের সেচ দপ্তরসূত্রে জানা গেছে , ফোন উদ্ধার করতে যে পরিমাণ পানি তুলেছেন রাজেশ, তা দিয়ে ১ হাজার ৫০০ একর জমিতে সেচ দেয়া যেত। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়। ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কাজের অভিযোগে রাজেশ বিশ্বাসের শাস্তির দাবিও জোরালো হতে থাকে। ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর কালেক্টর প্রিয়াঙ্কা শুক্লা অভিযুক্তকে সাময়িক অব্যাহতি (সাসপেন্ড) দেন। পাশাপাশি এ ব্যাপারে প্রশাসনিক তদন্তেরও নির্দেশ প্রদান করেন। সেই তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর মঙ্গলবার তাকে শাস্তিমূলক এই জরিমানার নির্দেশ দিলেন কালেক্টর। জরিমানার নির্দেশ অনুযায়ী, রাজেশ বিশ্বাসের প্রতি মাসের বেতন থেকে জরিমানা বাবদ একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক কেটে নেয়া হবে। আরও পড়ুন: দিল্লিতে ২২ বার ছুরিকাঘাত করে কিশোরীকে হত্যা সংবাদমাধ্যমে যখন পানি সেচে ফেলার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, সে সময় সাংবাদিকদের রাজেশ বিশ্বাস বলেছিলেন, স্থানীয় লোকজনের ‘বুদ্ধিতে’ এবং সেচ দফতরের অনুমতি নিয়েই তিনি পানি তুলেছিলেন এবং ১০ ফুট নয়, ‘মাত্র ৩-৪’ ফুট পানি তোলা হয়েছিল। ওই শোধনাগারের পানি চাষাবাদের কিংবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহার করা হয় না বলেও দাবি করেছিলেন ওই কর্মকর্তা।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply