আফ্রিকার সবচেয়ে পুরনো ইহুদি উপাসনালয়ে গুলি, নিহত ৪

আফ্রিকার সবচেয়ে পুরনো ইহুদি উপাসনালয়ে গুলি, নিহত ৪ আফ্রিকার সবচেয়ে পুরনো ইহুদি উপাসনালয় সিনাগগে বন্দুকধারীর গুলিতে সবমিলিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) তিউনিসিয়ার অন্যতম পর্যটন নগরী জেরবায় অবস্থিত ওই সিনাগগে হামলা চালায় বন্দুকধারী। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জেরবার সেই সিনাগগ। ছবি: এপি নিহতদের মধ্যে দুজন এসেছিলেন সিনাগগটিতে ঘুরতে, একজন সিনাগগের নিরাপত্তারক্ষী এবং অপর একজন বন্দুকধারী নিজে। প্রতিবছর এই সময়টিতে সিনাগগটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসেন ঘুরতে। এর আগে, ২০০২ সালে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আল কায়েদা তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিস থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উপকূলীয় শহর জেরবায় হামলায় চালায়। এর পর থেকেই সিনাগগটিকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলে তিউনিসিয়া সরকার। কিন্তু তার মাঝেই এই হামলা হলো। ২০০২ সালে আল কায়েদার সেই হামলায় ২১ পশ্চিমা পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল।

তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলায় জড়িত ব্যক্তি তিউনিসিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের জেরবা অঞ্চলে অবস্থিত নেভাল সেন্টারের একজন সদস্য। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ঘটনার শুরুতে ওই ব্যক্তি প্রথমে নিজের এক সহকর্মীকে আক্রমণ করে তাকে গুলি করে তার কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। এরপর সিনাগগের দিকে অগ্রসর হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, সিনাগগের কাছে পৌঁছে ওই ব্যক্তি সেখান নিরাপত্তা ইউনিটের ওপর গুলি চালায়। গুলিতে দুই পর্যটক এবং এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়। এ সময় আরও ৫ নিরাপত্তারক্ষী এবং ৪ পর্যটক আহত হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা ওই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত দুই পর্যটকের মধ্যে একজন ফরাসি এবং অপরজন তিউনিসিয়ারই নাগরিক।