হিটলারের বাড়িতে স্থাপন করা হবে মানবাধিকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
মানবাধিকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হবে হিটলারের শৈশবের বাড়িটিতে। অস্ট্রিয়ায় ব্রানাউ অ্যাম ইনে অবস্থিত বাড়িটির বিষয়ে এমন সিদ্ধান্তই গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
অস্ট্রিয়ায় হিটলারের জন্মস্থান। ছবি: এএফপি
অস্ট্রিয়ার যে বাড়িতে স্বৈরশাসক অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম হয়েছিল সেটিকে পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য একটি মানবাধিকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে। গত সপ্তাহে অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হিটলারের শৈশবের বাড়িটি নব্য-নাৎসিদের তীর্থস্থানে পরিণত হতে যাচ্ছিল। এই প্রবণতা কীভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে বিতর্কের পর সম্প্রতি এটিকে মানবাধিকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হিটলার উত্তর-পশ্চিম অস্ট্রিয়ার ব্রানাউ অ্যাম ইনের একটি ভবনে ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটি রাজধানী ভিয়েনা থেকে ২৮৪ কিলোমিটার পূর্বদিকে অবস্থিত। তিনি তিন বছর বয়স পর্যন্ত ওই বাড়িতেই বেড়ে উঠেছেন।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হিটলারের জন্মের আগে বাড়িটির মালিক ছিলেন গার্লিন্ড পোমার নামের এক ব্যক্তি। ২০১৬ সালে অস্ট্রিয়া সরকার বাধ্যতামূলক ক্রয় আদেশের মাধ্যমে ভবনটি কিনে নেয়। পরে ২০১৯ সালে জানা যায়, সরকার বাড়িটিকে পুলিশ স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করবে।
আরও পড়ুন: হিটলারের মৃত্যু: আত্মহত্যা নাকি প্রপাগান্ডা?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি আন্তবিভাগীয় বিশেষজ্ঞ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে বাড়িটিকে পুলিশের কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশনের সদস্য হারমান ফেইনার বলেন, এটি অস্ট্রিয়ার সবচেয়ে বড় মানবাধিকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হবে।
ভবনটির মালিক গার্লিন্ড পোমারের কাছ থেকে ১৯৭২ সালে অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল। তিনতলা এ বাড়িটি ২০১১ সাল থেকে খালি ছিল। ২০১৬ সালে মন্ত্রণালয় বাড়িটি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয়। তবে ইতিহাসবিদ ও রাজনীতিকদের তীব্র সমালোচনার মুখে সরকার বাড়িটি শেষ পর্যন্ত ভাঙতে পারেনি। পরে অস্ট্রিয়া সরকার ‘বিশেষ আইনি অনুমোদন’ নেওয়ার পরে ভবনটি পোমারের কাছে থেকে অধিগ্রহণ করে নেয়।
হিটলারের শৈশবের বাড়িটিকে মানবাধিকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিণত করতে আনুমানিক ২ কোটি ১৫ লাখ ডলার ব্যয় হবে। এটির নির্মাণকাজ ২০২৫ সাল নাগাদ শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
No comments: