ইকুয়েডরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৬

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বন্দুকযুদ্ধের পর রেস্টুরেন্টটি ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত স্থানীয় সময় রোববার (২১ মে) রাত ১০টার দিকে সান্টা এলেনা প্রদেশের মনতানিয়া শহরের সার্ফিং বিচের একটি রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। খবর গার্ডিয়ানের। দেশটির কৌঁসুলির বরাতে দ্য গার্ডিয়ান জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী মাদক কারবারি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। মাদক চোরাকারবারের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে ইকুয়েডরের প্রদেশটিতে। এখানে চুরি, অপহরণ, সহিংসতার মতো অপরাধ ঘটে প্রায়ই। সার্ফিংয়ের জন্য বিখ্যাত শহরটির সমুদ্রসৈকতে হামলার সময় শত শত পর্যটকের ভিড় ছিল। আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে নাইটক্লাবে ঢুকে তিনজনকে গুলি করে হত্যা বন্দুকযুদ্ধের সময় ওই রেস্টুরেন্টের পাশে থাকা এক নারী বলেন, “ঘটনার আগপর্যন্ত ধারণা করা যায়নি এ রকম কিছু ঘটতে যাচ্ছে। রেস্টুরেন্টের মধ্যে হঠাৎ করেই গুলির শব্দ শুনতে পাই। রেস্টুরেন্টের ভেতরে এবং বাইরে অবস্থান করা মানুষ 'দৌড়ান.. দৌড়ান, গোলাগুলি হচ্ছে' বলে দৌড়াতে থাকেন।” তবে ওই নারী ভয়ে তার নাম প্রকাশ করেননি। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল থেকে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোকেন ও অন্যান্য মাদক পরিবহনের রুট নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। ইকুয়েডরের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলীয় এ এলাকায় এক সপ্তাহের মধ্যে এটি ছিল দ্বিতীয় বন্দুক হামলার ঘটনা। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মান্তা শহরের একটি বাড়িতে গুলি করে চারজনকে হত্যা করা হয়। আহত হন আটজন। আরও পড়ুন: ফ্রান্সে গাড়িতে গুলি করে তিনজনকে হত্যা সংবাদমাধ্যম ইয়াহু নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কলম্বিয়া ও পেরুর মাঝখানে অবস্থিত বিশ্বের শীর্ষ কোকেন উৎপাদক ইকুয়েডর তার সাম্প্রতিক ইতিহাসে অপরাধের শীর্ষে রয়েছে। দিন দিন বেড়ে চলেছে মাদক সংশ্লিষ্ট ঘটনায় হত্যাকাণ্ড। ২০২১ সালের চেয়ে ২০২২ সালে দ্বিগুণ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে চলতি বছর ২০২২ সালকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে জানা যায়, মাদক চোরাচালানের অনেক সদস্য আসামি সেজে কারাগারেও যান। কারাগারে গিয়ে তারা তাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত কারাগারে দাঙ্গায় ৪২০ জনের বেশি কয়েদি মারা গেছেন। মারাত্মক সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় গেল এপ্রিলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় প্রদেশটির গুয়াকুইল অঞ্চলে। সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয় দেশটিতে।