ঋণ গ্রহণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে ঐকমত্যের দ্বারপ্রান্তে বাইডেন-ম্যাককার্থি
যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ গ্রহণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে শর্তসাপেক্ষে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং দেশটির কংগ্রেসের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি। আগামী দুই বছর প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয় কমানোর শর্তে ঋণ গ্রহণসীমা বাড়ানোর পক্ষে সায় দিয়েছেন ম্যাককার্থি।
জ
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বাইডেন এবং ম্যাককার্থিসহ অন্যরা ভার্চুয়াল আলোচনায় বসেন। মার্কিন প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলোচনায় অগ্রগতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দেউলিয়া হওয়ার শঙ্কাও যেন বেড়ে চলছিল। তবে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতাদের মধ্যকার আলোচনা। উভয় পক্ষ শতসাপেক্ষে ঋণ গ্রহণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র দেউলিয়া হলে কী প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে
মার্কিন প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি শর্তসাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহণসীমা ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বাড়ানোর বিষয়ে ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছেছেন। তবে শর্ত হলো আগামী দুই বছর প্রায় সব ধরনের সরকারি ব্যয় কমাতে হবে।
তবে সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহণসীমা কত হবে সে বিষয়ে এখনও আলোচনা বাকি।
উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগে মার্কিন কংগ্রেসকে লেখা এক চিঠিতে দেশটির অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন সতর্ক করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কোষাগারে আর মাত্র ১৫ দিনের সরকারি ব্যয় মেটানোর মতো অর্থ রয়েছে। সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহণসীমা বাড়ানো না হলে আগামী ১ জুনের পর থেকে আর সরকারি ব্যয় পরিশোধের উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ তথা অর্থ মন্ত্রণালয়। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থাভাবে দেউলিয়া হতে পারে দেশটি।
Tag: English News others world
No comments: