ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের কাছে হেরে দিল্লির বিদায়
ঘরের মাঠে পাঞ্জাব কিংসের কাছে হেরে এ বারের আইপিএল থেকে বিদায় নিল দিল্লি। প্রভসিমরন সিংহের শতরানের দৌলতে পাঞ্জাব ৩১ রানে হারিয়ে দিল দিল্লিকে। একই সঙ্গে নিজেদের প্লে-অফে ওঠার আশা জিইয়ে রাখল। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হল পাঞ্জাবের। অন্য দিকে, সমসংখ্যক ম্যাচে আট পয়েন্ট পেয়ে বিদায় নিতে হল দিল্লিকে।
শুধু প্রভসিমরন নয়, দিল্লির বিরুদ্ধে জয়ে অবদান রয়েছে হরপ্রীত ব্রারেরও। বল হাতে চার ওভারে ৩০ রানে চারটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, ব্যাট হাতে শতরান রয়েছে প্রভসিমরনের। দুই ঘরের ছেলের দাপটে জিতল পাঞ্জাব। দিল্লি ডুবল সেই ঘরের ছেলেদের ব্যর্থতার জন্যেই। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৭-৭ তোলে পাঞ্জাব। দিল্লি থামল ১৩৬-৮ স্কোরে।
আইপিএলে শনিবার (১৩ মে) আরও একটি শতরান দেখতে পাওয়া গেল। ৬৫ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেললেন প্রভসিমরন। তা সত্ত্বেও পাঞ্জাবের রান ১৬৭-র বেশি উঠল না। সেটা মূলত বাকি ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতার কারণেই। এ দিন পাঞ্জাবের ইনিংস আক্ষরিক অর্থের ‘ওয়ান ম্যান শো’। প্রভসিমরনের শতরানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ২০! সেই রান করেন স্যাম কারেন। এ ছাড়া পাঞ্জাবের বাকি আর কোনো ব্যাটার ভালো খেলতে পারেননি।
দিল্লির বোলারদের সামনে শুরু থেকেই নড়বড় করছিল পাঞ্জাবের ব্যাটিং। অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান ফেরেন দ্বিতীয় ওভারেই। ৫ বলে ৭ রান করে আউট হন ইশান্ত শর্মার বলে। লিয়াম লিভিংস্টোনকেও আউট করেন ইশান্ত। এগিয়ে গিয়ে মারতে গিয়েছিলেন লিভিংস্টোন। অফস্টাম্প উড়ে যায়।
পাঞ্জাবের হয়ে এ মরসুমে ভাল খেলা জিতেশ শর্মাও ৫ রানের বেশি করতে পারেননি। প্রভসিমরনের সঙ্গে কিছুটা জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন কারেন। কিন্তু বেশি দূর যায়নি সেই জুটি। কারেনের ইনিংস ছিল খুবই ধীরগতির।
ঘরের মাঠে এই রান তাড়া করা দিল্লির কাছে সহজ হবে বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু তাদের অবস্থা পাঞ্জাবের থেকেও খারাপ। ওপেনিংয়ে ডেভিড ওয়ার্নার এবং ফিল সল্ট ৬৯ তুলে দেন মাত্র ৬.২ ওভারে। তার পরেই ব্যাটিং বিপর্যের মুখে পড়ে দিল্লি। ওয়ার্নার বাদে বাকি ব্যাটাররা এলেন আর গেলেন। বহু দিন পরে মারমুখী ইনিংস খেললেন ওয়ার্নার। ২৭ বলে ৫৪ রান করলেন। তিনি ফিরতেই দিল্লির আশা শেষ হয়ে যায়।
Tag: English News games world
No comments: