এবার আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে রাশিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খানকে ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে রাশিয়া। শুক্রবার (১৯ মে) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আইসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খান। ছবি: সংগৃহীত বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ব্রিটিশ আইনজীবী করিম আসাদ আহমেদ খান চলতি বছর মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনে তিনি বলেছিলেন, রুশ সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর ইউক্রেনের অধিকৃত বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত শিশুকে রাশিয়া ও রাশিয়ার বাইরে বিভিন্ন দেশে পাচার করছে। যেহেতু পুতিনের নির্দেশেই ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেছে রুশ বাহিনী, সুতরাং এই অপরাধের দায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপরই বর্তায়। আরও পড়ুন: চীন সফরে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তার ওই এই আবেদন আমলে নিয়ে ২০ মার্চ পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন তোমোকো আকানে, রোজারিও সালভাতোরে আইতালা এবং সার্জিও জেরার্ডো উগালদে গোদিনেজ-আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই তিন বিচারকের বেঞ্চ। ওই পরোয়ানার প্রতিক্রিয়ায় আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর ও বিচারকদের বিরুদ্ধে পাল্টা তদন্ত শুরু করে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি। তদন্তে নির্দোষ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা এবং বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিকে হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হলে করিম আসাদকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে মস্কো। এদিকে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর সবচেয়ে দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে বাখমুত অঞ্চলে। পুতিন ও জেলেনস্কিবাহিনী অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। কিয়েভ দাবি করেছে, রুশ সেনাদের একাধিক হামলা প্রতিহত করে ইউক্রেনের সেনারা অঞ্চলটির কয়েক কিলোমিটার এলাকা অগ্রসর হয়েছে। বাখমুতের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের কিছু এলাকা দখলের দাবিও করা হয়েছে। আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে চীনের সহায়তা চাইতে বেইজিং যাবেন ম্যাক্রোঁ অন্যদিকে, রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনারের সদস্যরাও বাখমুত দখলে অগ্রসর হচ্ছে বলে দাবি করেছে। তবে, খুব শিগগিরই রুশ বাহিনীর কাছে অঞ্চলটির পতনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।