সবক দেয়া যুক্তরাষ্ট্র আসলে কতটা নিরাপদ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সবক দেয়া যুক্তরাষ্ট্রেই যখন নাজুক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তখন কোনো কারণ ছাড়াই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্য দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা জারির আগে নিজ দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।
বন্দুক সহিংসতায় নিহতদের স্মরণানুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত
দেশটিতে যখন তখন ঘটছে বন্দুক হামলা। শপিংমল থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রক্ষা পাচ্ছে না কোনো কিছুই। গত ৫ বছরে কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এক হাজারের বেশি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছে কয়েকশ’ কোমলমতি শিশু। প্রায় প্রতিদিন বিশ্ব গণমাধ্যমে শিরোনাম হচ্ছে দেশটি।
বন্দুক সহিংসতা নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান কে-২ বলছে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে এক হাজারেও বেশি। এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছে বহু শিশু।
আরও পড়ুন: বন্দুক সহিংসতা মার্কিন সমাজ ব্যবস্থার জন্য কতটা হুমকির
দেশটির ৫৩ বছরের ইতিহাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে হামলা হয়েছে, তার ৪০ শতাংশই ঘটেছে গত পাঁচ বছরে। এরমধ্যে ২০২২ সালেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনশোর বেশি বন্দুক হামলা হয়েছে। এসব হামলায় হতাহত হয়েছেন ২৭০ জন।
পিউ রিসার্চ সেন্টার নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, ভয়াবহ এসব হামলায় শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। শিশুদের স্কুলে পাঠানোর পর চরম দুশ্চিন্তায় থাকেন দেশটির এক তৃতীয়াংশ অভিভাবক।
একের পর এক বন্দুক হামলায় ঘটনায় দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিলেও এ ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন মার্কিন প্রশাসন। বন্দুক সহিংসতার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠলেও নেয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড সংখ্যক বন্দুক সহিংসতা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সবক দেয়া যুক্তরাষ্ট্র নিজের বেলায় একেবারেই উদাসীন। ঠুনকো অজুহাতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে নাগরিকদের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করলেও খোদ যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিস্থিতিই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে ঝুঁকির মুখে লাখো মানুষের জীবন।
No comments: