চীনের সঙ্গে ‘গঠনমূলক এবং স্থিতিশীল’ সম্পর্ক চায় জি-৭

চীনের সঙ্গে ‘গঠনমূলক এবং স্থিতিশীল’ সম্পর্ক চায় জি-৭

বিশ্বের শীর্ষ সাত অর্থনীতির দেশের জোট জি-৭ চীনকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান সামরিকায়নের বিষয়ে সতর্ক করেছে। তবে বেইজিংয়ের সঙ্গে ‘গঠনমূলক এবং স্থিতিশীল’ সম্পর্কও স্থাপন করার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে আমন্ত্রিত অতিথিরা। ছবি: ডয়েচে ভেলে শনিবার (২০ মে) জাপানের হিরোশিমায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে চীনের বিষয়ে দুই ধরনের নীতি গ্রহণ করা হয়। প্রথমত, চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক এবং সামরিক কর্মকাণ্ডের ওপর কড়া নজর রাখা এবং দ্বিতীয়ত দেশটির সঙ্গে কোনো ধরনের উত্তেজনা পরিহার করা। চীনের বিষয়ে এক বিবৃতিতে জি-৭ বলেছে, ‘চীনের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সংযুক্ত থাকার গুরুত্ব স্বীকার করে আমরা দেশটির সঙ্গে একটি গঠনমূলক এবং স্থিতিশীল সম্পর্ক স্থাপনে প্রস্তুত। এবং আমরা আমাদের উদ্বেগের বিষয়ও সরাসরি চীনকে জানাতে চাই।’ আরও পড়ুন: জি-সেভেন সম্মেলনে অতিরিক্ত আট দেশ কেন? তবে জোটটি চীনকে দক্ষিণ চীন সাগরে তার ক্রমবর্ধমান সামরিকায়নের বিষয়েও সতর্ক করেছে। পাশাপাশি জোটটি চীনকে উদ্দেশ্য করে বলেছে, বিশ্বের নিরাপত্তার জন্যই তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা জরুরি। জি-৭ বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘আমাদের নীতি চীনের ক্ষতি করার জন্য করা হয়নি এবং আমরা চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টাও করি না।’ এসবের পাশাপাশি জি-৭ চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন দেশটি রাশিয়ার ওপর তার প্রভাব খাটিয়ে ইউক্রেনে চলমান সংঘাত বন্ধ করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।