Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মুজিবনগর দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন




মুজিবনগর দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য সোমবার সকাল ৯টায় মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্রে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। আম্রকাননে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউটস, গার্লস গাইড এবং স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পাশাপাশি বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজও প্রদর্শিত হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সকাল ১০টায় মুজিবনগরের শেখ হাসিনা মঞ্চের সামনে গীতিনাট্য ‘জল, মাটি ও মানুষ’ প্রদর্শিত হয়। পৌনে ১১টায় মুজিবনগরের শেখ হাসিনা মঞ্চে এ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজি জাফর উল্লাহ। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বাংলার মানুষ শতশত বছর পরাধীনতার শৃংখলে নিষ্পেশিত,নির্যাতিত হয়েছে পাকিস্তানীদের হাতে। সেই পরাধিনতার শৃংখল থেকে ৫৬ হাজারের এই পরাধীন জাতিকে মুক্ত করার জন্য স্বাধীনতা ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাকে বাংলার মানুষ ঐতিহাসিকভাবে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। বাংলার মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। ১০ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের সর্ব পথম সরকার গঠিত হয় এবং ১৭ এপ্রিল মুজিব নগরের আম্রকাননে প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানসহ সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ১২ আনসার সদস্য। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খন্ড খন্ড ভাবে স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে অনুমোতি দিয়েছিলন। শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত জিয়াউর রহমান ছিল স্বাধীনতা ঘোষনার চতুর্থ তম ব্যাক্তি। তিনি আরও বলেন একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া স্বাধীনতা নেতৃত্বে আর কারও অবদান নাই। অথচ বিএনপি জামাত প্রথম থেকেই স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে। এখনও তারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করে চলেছে। তাদের মধ্যে অনেক অনুসারী আছেন যারা মুক্তিযোদ্ধ হিসেবে দাবী করেন কিন্তু তারা ১০ই এপ্রিল মানেন না,১৭ই এপ্রিলও মানেনা। জাতি তাদের ঘৃণা ভরে প্রত্যাক্ষাণ করেছে বলেই তারা আজ নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পায়। কারন তারা জানেন নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের জাতি আবারও প্রত্যাখ্যান করবে। অথচ সেই বিএনপির লোকেরা আজ সরকারের উন্নয়ন দেখলে তাদের গা জ্বলে উঠে। দেশ বিদেশে মিথ্যাচার করে বেড়ান। ষড়যন্ত্র করে বেড়ান । বিএনপি জামাতের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে এদেশের শান্তি কামী মানুষ। ১৭ এপ্রিল নতুন করে আবারও শপথ নিয়ে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকারকে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে বসানোর আহবান জানান তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, জাতীর জনকের স্বপ্নে গড়া সোনার বাংলা আজ উন্নয়নের রোল মডেল যে দেশ আজ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গৌরব অর্জন করে চলেছে ,সেই দেশের মানুষকে উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি জামাত স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। সেই সকল ষড়-যন্ত্রকারিদের রুখে দিয়ে ১৭ এপ্রিল আবারও শপথ আমাদের শপথ হোক আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে সরকারে আনতে হবে। বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, বাংলাদেশে বসবাস করবেন অথচ বাংলাদেশের স্বাধীনতা মানবেননা,এসিতে বসে রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করে দেশেকে অস্থিতিশীল করবেন তা হতে দেয়া হবে না। যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করেনা,যারা মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করেনা তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেনা। যারা স্বাধীনতার মুল্যবোধকে বিশ্বাস করেনা,যারা ১৭৭৫ সালের ১৭ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে সরাসরি অংশ গ্রহনের মাধ্যমে হত্যা করেছে তাদের জাতি কখনো ক্ষমা করবেনা । তাই বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার পাশে আছে। শেখ হাসিনাও তাদের পাশে আছেন বলেই বাংলার সকল মনুষ আজ আত্ন নির্ভরশীল। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন,এদেশে আগেও যারা ষড়যন্ত্র করেছে তারা আজো ষড়যন্ত্র করে আসছে। তবে এ স্বাধীনতা বিরোধী চক্ররা যাতে দেশে শিকড় গাড়তে না পারে সে বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে। তাদের শিকড় গাড়তে দেওযা হবে না। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে পুস্পমাল্য অর্পন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথাগুলো বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা ভিত্তিক মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। তবে উপজেলা পর্যায়ে যাচাই বাছাই কমিটি যাদের নাম করেছে তাদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে। সারাদেশে এ কার্যক্রম শেষ হয়নি। এখন দেশের ২২টি উপজেলায মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই বাকি রয়েছে। এ কার্যক্রম আগামী জুন মাসে শেষ হবে। এছাড়াও রাজাকারদের তালিকাও তৈরী হয়েছে। এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে সরকার কাজ করছে। বক্তব্য শেষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মন্ত্রী। পরে মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ,আনসার ও বিএনসিসির সদস্যরা গার্ড অব অনার ও কুচকাওয়াজ প্রর্দশন করে






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply