ইউক্রেনের শস্য রফতানি চুক্তি বাতিলের হুমকি রাশিয়ার
ইউক্রেনের শস্য রফতানির লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি থেকে সরে আসার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। আগামী ১৮ মে এ চুক্তির বর্ধিত মেয়াদও শেষ হতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজ। ছবি: রয়টার্স
সোমবার (২৪ এপ্রিল) রুশ শস্য ইউনিয়নের সভাপতি আর্কাদি জ্লোচেভস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের কৃষিপণ্য রফতানির সুযোগ করে দিতে স্বাক্ষরিত কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি রাশিয়ার জন্য ইতিবাচক কিছু বয়ে আনেনি কিংবা বৈশ্বিক বাজারে সরবরাহ বাড়াতে কোনো সাহায্য করেনি।
গত বছরের জুলাইতে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় এ চুক্তি সই হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরে উপকূলে অবস্থিত দেশটির বিভিন্ন বন্দর ব্যবহার করে ২ কোটি ৭০ লাখ টনের বেশি শস্য রফতানি করেছে।
রাশিয়া বরাবরই এই চুক্তির সমালোচনা করে আসছে। দেশটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পশ্চিমা বিধিনিষেধের ফলে রাশিয়ার নিজস্ব কৃষিপণ্য ও সার রফতানিতে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা দূর করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ১৮ মে শস্য চুক্তি থেকে সরে আসবে দেশটি।
আরও পড়ুন: এবার শস্য রফতানি চুক্তি থেকে সরল রাশিয়া
এদিকে, গুরুত্বপূর্ণ এই চুক্তির ‘মেয়াদ বৃদ্ধি, পুরোপুরি বাস্তবায়ন ও সম্প্রসারণের’ আহ্বান জানিয়েছে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭। রোববার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জোটের কৃষিমন্ত্রীরা এ আহ্বান জানান।
তবে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, জি-৭ যদি রাশিয়ায় পণ্য রফতানি বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি বাতিলের মাধ্যমে তার জবাব দেবে মস্কো।
অবশ্য এই শস্য চুক্তি বাঁচাতে তৎপর হয়েছে জাতিসংঘ। গত বছর লাটভিয়ার জব্দ করা রাশিয়ার সার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে কেনিয়ায় নেওয়া হচ্ছে। লাটভিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত শনিবার এ কথা জানিয়েছে। শস্য চুক্তিতে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে এই সার জব্দকে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করে আসছিল রাশিয়া।
No comments: