দ. কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে দিচ্ছে: পিয়ংইয়ং

দ. কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে দিচ্ছে: পিয়ংইয়ং যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া। পাশাপাশি দেশটি জানিয়েছে, তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে তার আক্রমণাত্মক জবাব দেবে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ-এর বরাত দিয়ে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ও অন্যান্যরা। ছবি: রয়টার্স বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) কেসিএনএ-তে প্রকাশিত এক

নিবন্ধে বলা দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান মহড়ার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই মহড়া কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতিকে বিস্ফোরণের দিকে নিয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্পর্ক বিশ্লেষক চো জু হিউন লিখিত নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ‘উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার অনুসারীদের বেপরোয়া সামরিক সংঘাতমূলক উন্মত্ত আচরণ কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতিকে একটি অপরিবর্তনীয় বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে…হয়তো পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে।’ নিবন্ধে আরও বলা হয়, ‘এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সর্বসম্মতভাবে আশা করছে যে, কোরীয় উপদ্বীপে ঝুলে থাকা পারমাণবিক যুদ্ধের কালো মেঘ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূর হয়ে যাবে।’ আরও পড়ুন: কোরীয় উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান, উত্তেজনা তুঙ্গে গত মার্চ থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী সিরিজ মহড়া চালিয়ে আসছে। মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম যুদ্ধবিমান বি-১বি এবং বি-৫২ অংশগ্রহণ করে। বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে এমন বড় আকারের মহড়া এই প্রথম। নিবন্ধে বলা হয়েছে, মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজের অংশগ্রহণ স্পষ্টতই সংঘর্ষের ইঙ্গিত। বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে পিয়ংইয়ং বলেছে, এই মহড়াকে প্রতিহত করতে উত্তর কোরিয়াও আক্রমণাত্মকভাবে জবাব দিতে প্রস্তুত। নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ‘এই মহড়া কোরীয় উপদ্বীপকে উত্তপ্ত বারুদের মতো করে তুলেছে। যেকোনো সময় বিস্ফোরণ হতে পারে।’ উত্তর কোরিয়া এই মহড়াকে আক্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করছে।