যুক্তরাষ্ট্রে রান্নায় যে কারণে নিষিদ্ধ সরিষার তেল
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং ভারতের রান্নায় সরিষার তেলের বহুল ব্যবহারের কথা প্রায় সবাই জানে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশে রান্নায় সরিষা তেল ব্যবহারের ওপর সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বহুল প্রচলিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রে রান্নায় নিষিদ্ধ সরিষা তেল। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ এথেরোস্ক্লেরোটিক কার্ডিওভাসকুলার রোগ। সোজা কথায় বললে হৃদ্রোগের কারণেই বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে হৃদ্রোগে মৃত্যুর হার স্থানীয়দের তুলনায় চারগুণ বেশি।
এর কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) উল্লেখ করেছে, দক্ষিণ এশীয়রা হৃদযন্ত্রের সক্রিয়তা বজার রাখতে সহায়তা করে এমন খাদ্য উপাদানের পরিবর্তে ইউরিক এসিড এবং ফ্যাটি এসিডযুক্ত খাবার বেশি গ্রহণ করে থাকে। সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে। এই প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে (এফডিএ) রান্নার জন্য সরিষার তেলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে প্ররোচিত করেছিল।
আরও পড়ুন: আমেরিকায় সরিষার তেলে রান্না নিষিদ্ধ!
যুক্তরাষ্ট্রের দেখানো পথে পুরোপুরি না হাঁটলেও অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ রান্নার ক্ষেত্রে কতটুকু সরিষা তেল গ্রহণ বা ব্যবহার করা যাবে তার ঊর্ধ্ব সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
ইউরোপ-আমেরিকায় সরিষার তেলকে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হলেও দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় রান্নার তেল এই সরিষার তেল। ভারতে লিপিড অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (এলএআই) সরিষার তেলকে হৃদ্যন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর হিসেবে সুপারিশ করেছে।
No comments: