সুদানে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে বহু হতাহত
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন। দেশটির একটি চিকিৎসক সংগঠনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
দুই বাহিনীর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। শনিবার (১৫ এপ্রিল) হঠাৎ করেই তা প্রবল সংঘাতে রূপ নিয়েছে। চলমান এই লড়াইয়ের কারণে দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
চিকিৎসকদের সংগঠন সেন্ট্রাল কমিটি অব সুদান ডক্টরস জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যকার সংঘর্ষে তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলে নেয়ার দাবি আধাসামরিক বাহিনীর
সেন্ট্রাল কমিটি অব সুদান ডক্টরসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি বলা হয়েছে, নিহত তিনজনের মধ্যে দুইজন নিহত হয়েছে খার্তুম বিমানবন্দরে। আরেকজনকে নর্থ করদোফান রাজ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এই সংঘর্ষের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, সেনাপ্রধানের বাসভবন ও খার্তুম বিমানবন্দর দখলে নেয়ার দাবি করে আরএসএফ। তবে আধাসামরিক বাহিনীর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের দাবি নাকচ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, এদিন প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের মধ্যদিয়ে সংঘর্ষের শুরু হয় যা এখনও চলছে। এটাকে প্রাথমিকভাবে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে সুদানজুড়ে আতঙ্ক
তবে ফোনে আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আরএসএফ কমান্ডার জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানকে ‘ক্রিমিনাল’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, সেনাবাহিনীই অভ্যুত্থান চেষ্টা করছে। আরএসএফ সেনাদের সংঘর্ষে বাধ্য করা হয়েছে।
আরএসএফ প্রধান আরও বলেন, বর্তমান লড়াই একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ প্রশস্ত করবে এবং সব অপরাধীর বিচার হবে। তার কথায়, ‘এই লড়াই কখন শেষ হবে তার কোনো সময়সীমা আমি দিতে পারছি না। তবে আমরা যতটা সম্ভব কম ক্ষয়ক্ষতির মধ্যদিয়ে এই লড়াই শেষ করতে চাই।’
কমান্ডার হামদান আরও বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করছি, সশস্ত্র বাহিনীর ইউনিটগুলো মেরোওয়েতে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। অন্যান্য অনেক ইউনিট আত্মসমর্পণ করেছে। আল-বুরহান একজন ক্রিমিনাল। তিনি একজন মিথ্যাবাদী, মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছেন। তার কথা কারও শোনা উচিত নয়।’
কমান্ডার হামদানের ওই বক্তব্যের পরই টেলিফোনে আল জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকারে আরএসএফ কমান্ডারের দাবি নাকচ করে দেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, সেনার সদর দফতর ও খার্তুম বিমানবন্দর সেনাবাহিনীর দখলেই রয়েছে।
আরও পড়ুন: তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে গেল ১০ প্রাণ
এদিকে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান ও আরএসএফ নেতা জেনারেল হামদানকে অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন সুদানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেন, দেশের মানুষের লাশের ওপর দিয়ে কেউ বিজয়ী হতে পারবে না।’
Tag: English News lid news world
No comments: