একুশ শতকের ‘গ্রেট গেমের’ অংশ হতে চায় না কাজাখস্তান
ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপ তো বটেই বিশ্বজুড়েই নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের জন্ম দিয়েছে। রাশিয়া এবং পশ্চিমা বিশ্বের টানাপোড়েনের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কা করছেন মধ্য এশিয়ায় আরও একটি ‘গ্রেট গেমের’ সূচনা হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মধ্য এশিয়ায় রাশিয়ার পুরনো মিত্র দেশ কাজাখস্তান জানিয়েছে তারা তারা একুশ শতকের গ্রেট গেমের অংশ হতে চায় না।
কাজাখস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোমান ভাসিলেঙ্কো। ছবি: রয়টার্স
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই কাজাখস্তান একটি সূক্ষ্ম মধ্যপন্থা অবলম্বন করেছে। দেশটি পুরনো মিত্র রাশিয়ার যেমন সমালোচনা করেনি তেমনি রাশিয়ার পক্ষাবলম্বনও করেনি। দেশটি বরং পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার পাশাপাশি রাশিয়াকে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কাজাখস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোমান ভাসিলেঙ্কো ইউক্রেন যুদ্ধ, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক, ভবিষ্যৎ বিশ্ব রাজনীতি ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: কাজাখস্তান ছাড়ছেন রুশ সেনারা
আল জাজিরার এক প্রশ্নের জবাবে রোমান ভাসিলেঙ্কো বলেন, ‘কাজাখস্তান ইউরেশিয়ার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। চারদিকে স্থলবেষ্টিত হওয়ায় আমাদের চীন, রাশিয়া এবং পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে এক বহুমুখী পররাষ্ট্রনীতি গঠন করতে হয়েছে এবং এসব সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গঠিত। বিগত কয়েক বছরে আমরা এটিই উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, সম্ভবত আমরা এখন যে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছি তাই আমাদের জন্য যথার্থ।'
রোমান ভাসিলেঙ্কো আরও বলেন, ‘যেকোনো সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজা আমাদের রক্তে মিশে রয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করেছি। আমরা বুঝি যে, কূটনীতিই আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার সর্বোত্তম উপায়।’
কাজাখ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা এই নীতির প্রতি অবিচল থাকব এবং আমরা রাশিয়া, চীন এবং পশ্চিমের কাছে এটি দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করতে থাকব। একবিংশ শতাব্দীতে কাজাখস্তান আবার নতুন করে কোনো গ্রেট গেমের অংশ হতে চায় না।
Tag: English News others world
No comments: