সীমান্ত সমস্যা: ভুটানের অবস্থানে উদ্বেগ ভারতের
ডোকলামের সীমান্ত নিয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উদ্বেগ বেড়েছে ভারতের। এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেছেন, ডোকলাম ইস্যুতে চীনেরও সমান মত দেয়ার অধিকার রয়েছে। তিনি জানান, সীমান্ত সমস্যা সমাধানে ভারত-চীন রাজি হলেই আলোচনায় বসবে ভুটান।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা চলছে ভারত ও চীনের মধ্যে। ২০১৭ সালে ডোকলামে দেশ দুটির সেনারা মুখোমুখি অবস্থান নেয়ার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার ছয় বছর কেটে গেছে। তবে সংঘাতময় যে পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে, তার এখনো কোনো নিষ্পত্তি হয়নি।
সম্প্রতি ইস্যুটি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। তিনি বলেন, ডোকলাম সমস্যা সমাধানের দায় শুধু ভুটানের নয়। তিনটি দেশ জড়িত থাকায়, বাকি দুই দেশ রাজি হলে আলোচনা শুরু হতে পারে।
ডোকলামের বাটাং লা এলাকায় তিন দেশেরই সীমান্ত রয়েছে। উত্তরে চীনের চুম্বি উপত্যকা। পশ্চিমে ভারতের সিকিম। দক্ষিণ ও পূর্বে ভুটানের অবস্থান।
আরও পড়ুন: ভারতে গণতন্ত্র বাঁচানোর দাবিতে কংগ্রেসের মশাল মিছিল
তবে চীনের দাবি, বাটাং লার সাত কিলোমিটার দক্ষিণে জিপমোচি শৃঙ্গ ও ঝাম্পেরি পাহাড়ি অঞ্চল তাদের। যদিও, ভারত এ দাবি কখনো মানেনি। শুধু তাই নয়, ওই অঞ্চল চীনের নয়, ভুটানের - এ দাবিও জোরের সঙ্গেই বলে আসছে ভারত।
যদিও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, চীনের প্রবল চাপের কারণেই আগের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে ভুটান।
ভারতীয় গণমাধ্যম অনুযায়ী, জিপমোচি-ঝাম্পেরি এলাকাকে নিজেদের দাবি করার পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে চীনের। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই এলাকায় ঘাঁটি গাড়তে পারলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সঙ্গে একমাত্র সংযোগকারী এলাকা পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডরের ওপর সরাসরি নজর রাখতে পারবে বেইজিং।
Tag: English News lid news others world
No comments: