পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন পুতিনের ঘোষণায় বাইডেন কি শঙ্কিত?

বেলারুশে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পুতিনের বক্তব্যকে ‘বিপজ্জনক’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (বাঁয়ে), রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ডানে)। ফাইল ছবি গেল সপ্তাহে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এই ঘোষণায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসে পশ্চিমা দেশগুলো। রুশ প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্যে উদ্বেগ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘পুতিনের এ ধরনের কথাবার্তা বিপজ্জনক, একইসঙ্গে যথেষ্ট উদ্বেগের। আমি অবশ্যই এতে বেশ উদ্বিগ্ন। গত বছরই আপনাদের বলেছিলাম যে, তিনি (পুতিন) যে ধরনের কথা বলছেন, তা মারাত্মক।’ যদিও এখন পর্যন্ত বেলারুশে রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র স্থানান্তরের কোনো ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্র পায়নি বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন এফ কিরবি জানান, মস্কোর এমন কর্মকাণ্ড গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যতটা সম্ভব রাশিয়ার ওপর নজর রাখছি। এখন পর্যন্ত বেলারুশে পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের কোনো চিহ্ন আমাদের চোখে পড়েনি। এমন কোনো আভাসও নেই।’ আরও পড়ুন: বেলারুশে কেন পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে চায় রাশিয়া? এদিকে সীমান্তে ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর সামরিক শক্তি বৃদ্ধি, নিষেধাজ্ঞাসহ পশ্চিমা চাপ মোকাবিলার লক্ষ্যে বেলারুশে রুশ কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মিনস্ক। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র চুক্তি স্থগিতের পর মস্কো ও বেইজিং একে অপরের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় বন্ধ করে দিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, অস্ত্র চুক্তি স্থগিত করা সত্ত্বেও হোয়াইট হাইস, পেন্টাগন ও পররাষ্ট্র দফতর তথ্য বিনিময় অব্যাহত রাখতে রাশিয়াকে প্রস্তাব দিলেও মস্কো নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত কোনো তথ্য বিনিময়ে আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছে। এরই জেরে যুক্তরাষ্ট্রও রাশিয়াকে কোনো তথ্য দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যেই বুধবার (২৯ মার্চ) নিজেদের পারমাণবিক শক্তিমত্তার জানান দিতে অত্যাধুনিক ইয়ার্স আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও কয়েক হাজার সেনা নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে রাশিয়া।