চীনে তিয়ানঝু ফাইভের সফল উৎক্ষেপণ
রসদবাহী মহাকাশ যান তিয়ানঝু ফাইভকে শনিবার সফলভাবে উৎক্ষেপণ করল চীন। চীনের মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল বহন করছে মহাকাশযানটি। গত বছর তিয়ানগংয়ের প্রথম মডিউল কক্ষপথে স্থাপন করে চীন।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইনান প্রদেশে ওয়েনচ্যাং মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত করা হয় তিয়ানঝু ফাইভকে। একটি রকেটের মাধ্যমে এটি পাঠানো হবে মহাকাশে।
১০টা ৩ মিনিটে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের প্ল্যাটফর্মে স্থাপিত মহাকাশ যানটির গা থেকে ধীরে ধীরে খুলে যেতে শুরু করে ধাতব বন্ধন। শুরু হয় কাউন্টডাউন। কন্ট্রোলরুমে বসা বিজ্ঞানী-প্রকৌশলীদের চোখ আটকে যায় সামনে থাকা সুবিশাল স্ক্রিনে।
কাউন্টডাউন শেষ হওয়ার পরপরই সচল হয় রকেটটির শক্তিশালী ইঞ্জিন। রকেটের জ্বালানি পুড়তে শুরু করায় বিপুল ধোঁয়ায় তখন আচ্ছন্ন হয় পুরো উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম। ধীরে ধীরে ডানা মেলতে শুরু করে মহাকাশ যানটি। এর পরই তীব্র বেগে মহাশূন্যের দিকে যাত্রা শুরু করে মহাকাশ যানটি।
আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে চীনে নতুন ২০ নিয়ম
এভাবেই সফলতার সঙ্গে নিজেদের সবশেষ মহাকাশ যান তিয়ানঝু ফাইভকে উৎক্ষেপণ করেছে চীন। তিয়ানঝুকে নিয়ে মহাকাশে স্থাপিত চীনের স্পেস স্টেশন তিয়ানগংয়ের দিকে যাত্রা করে রকেট লং মার্চ ওয়াই সিক্স। তিয়ানগং নির্মাণের প্রয়োজনীয় রসদ ও মালামাল বহন করছে তিয়ানঝু ফাইভ।
যাত্রা শুরুর মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে নির্দিষ্ট কক্ষপথে নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যায় তিয়ানঝু ফাইভ। এর পরপরই ডানা মেলে মহাকাশ যানটিতে থাকা সৌরবিদ্যুতের প্যানেল। বর্তমানে স্পেস স্টেশন তিয়ানগংয়ে সংযুক্ত হওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে তিয়ানঝু ফাইভ।
চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক সক্ষমতা অনেক আগেই দেখেছে বিশ্ব। এবার তাদের লক্ষ্য মহাকাশ জয়। সে জন্য মহাকাশে নিজেদের প্রযুক্তিতে তৈরি স্পেস স্টেশন বানানোর কাজ শুরু করেছে তারা। যার অংশ হিসেবে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে রসদ ও মনুষ্যবাহী একের পর এক মহাকাশ যান।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ চীনা প্রেসিডেন্টের
মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে চীন বিশ্বের তৃতীয় দেশ যারা মহাকাশে নভোচারী পাঠিয়েছে এবং একই সঙ্গে মহাকাশে স্পেস স্টেশন বা মহাকাশ কেন্দ্র তৈরি করছে। এর আগে মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করেছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র।
গত বছর চীন তাদের মহাকাশ কেন্দ্র তিয়ানগংয়ের প্রথম মডিউল কক্ষপথে স্থাপন করে। চীনা ভাষায় তিয়ানগং নামের অর্থ ‘স্বর্গের প্রাসাদ’। তিয়ানগং-এ থাকবে নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, কেন্দ্র পরিচালনার প্রযুক্তি, জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম এবং নভোচারীদের থাকার ঘর।
No comments: