Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মেহেরপুরে মরিচের বাম্পার ফলন হলেও কৃষক ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না




মেহেরপুরে মরিচের বাম্পার ফলন হলেও কৃষক ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। খেত থেকে কাঁচা মরিচ সংগ্রহ ও বাজারজাত করতে প্রতি কেজিতে খরচ হচ্ছে ১২-১৩ টাকা। অথচ বর্তমানে ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি কেজিতে কৃষক পাচ্ছেন মাত্র তিন টাকা। বর্তমানে এক কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। এক কেজি চাল কিনতে কৃষককে ২০ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের মরিচচাষি সোবহান আলী জানান, ৩২ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছি। অক্টোবরে পাইকারি ২০০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করেছি। বর্তমানে ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। এরমধ্যে জমি থেকে মরিচ সংগ্রহ করতে কেজিপ্রতি শ্রমিক খরচ ১০ টাকা। পরিবহণ ও আড়ত খরচ মিলে কেজিপ্রতি খরচ আরও ২-৩ টাকা। সব খরচ বাদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পাচ্ছেন ৩ টাকা। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, এক কেজি মোটা চাল কিনতে তাকে ২০ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে অন্য সবজির দাম থাকলেও মরিচের দাম নেই। বাজারে মরিচের দাম না থাকায় অনেক কৃষক মরিচই সংগ্রহ করছেন না। জমিতে মরিচ নষ্ট হচ্ছে। জানা গেছে, খোলা বাজারে ২৫ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি হলেও পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে। সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া গ্রামের মরিচচাষি রফিকুল হোসেন বুধবার পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ নিয়ে আসেন। আবদুল মজিদের আড়তে তিনি জিয়া জাতের ৪১ কেজি মরিচ বিক্রি করেন। ১৫ টাকা কেজি দরে তাকে দাম দেওয়া হয়। এ সময় হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাজারে সব জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। শুধু মরিচেরই দাম নেই। শুধু কাঁচা মরিচের দামই কমল! পাইকারি ক্রেতা মজিবর হোসেন বলেন-পাবনা ও কুষ্টিয়ায় বিপুল পরিমাণ মরিচ ওঠছে। এর প্রভাব পড়েছে এখানকার বাজারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন না। লোকসান এড়াতে আমরা কৃষকদের মরিচ না তুলে জমিতে পাকানোর পরামর্শ দিচ্ছি। এতে লাভও বেশি। এটি করছেনও অনেকে। তিনি আরও জানান, এবার ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply