পতনের মুখে বিশ্ব অর্থনীতি, ভুগবে বাংলাদেশও সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক 'বিশ্বে কি মন্দা আসন্ন' শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির তিন মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপের অর্থনীতি দ্রুত গতি হারাচ্ছে। ফলে আগামী বছর মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বব্যাংকের এ আশঙ্কা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি বলছে, উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলো সম্ভাব্য এ মন্দায় সবচেয়ে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করবে। প্রতিবেদনে জাতিসংঘের অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন, আসন্ন অর্থনৈতিক সংকট ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের চেয়েও খারাপ অর্থনৈতিক মন্দায় ফেলতে পারে পুরো বিশ্বকে। প্রতিবেদনে সম্ভাব্য মন্দার কারণ হিসেবে উন্নত দেশগুলোর ভ্রান্ত নীতিগত সিদ্ধান্ত, কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করা হয়েছে। এতে মন্দা এড়ানো অনেক দেশের পক্ষেই কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সংকেত ছিল কোভিডের আগ থেকেই আগামী বছরগুলোতে বিশ্বের প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা আইএমএফ। অবশ্য এর লক্ষণ ফুটে উঠেছিল কোভিড লকডাউনের আগে থেকেই। আইএমএফের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ধারা বিশ্লেষণ করলেই দেখা যায়, কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের ওপর কালো ছায়া মেলেছিল অর্থনৈতিক সংকট। তবে কোভিড ও পরবর্তী সময়ে ইউক্রেন যুদ্ধ এ সংকটকে আরও ত্বরান্বিত এবং গভীর করেছে। ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশাবাদ জানিয়েছিল আইএমএফ। তবে এর পরের প্রতিবেদনগুলোতে আশাবাদ ক্রমেই সংকটের শঙ্কার দিকে ধাবিত হয়। এ ছাড়া ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে অর্থনীতিতে সম্ভাব্য সংকটের ব্যাপারে সাবধান বাণী উচ্চারণ করে আইএমএফ। ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে পরিস্থিতির আরও অবনতির আভাস পাওয়া যায়। ২০২০ সাল ছিল সারা বিশ্বে কোভিড লকডাউনের বছর। সে বছরের এপ্রিলে ছাপা হওয়া প্রতিবেদনে বিশ্বের অর্থনৈতিক সমস্যাকে অভূতপূর্ব বলে আখ্যা দেয় সংস্থাটি। একই বছরের অক্টোবরের প্রতিবেদনে বিশ্বের অর্থনীতির সামনে যে কঠিন দুর্যোগ ঘনিয়ে আসছে, তা পরিষ্কার হয়ে ওঠে। সুদের হার বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি যেন এক দুষ্টচক্র কোভিড সংকট ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বেই জ্বালানি সংকট ও মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। যার কাঁধে ভর দিয়ে ধেয়ে আসছে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা। পরিস্থিতি সামলে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সুদের হার বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। যার নেতৃত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ। আসন্ন অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর উপায় হিসেবে সুদের হার বৃদ্ধিকেই আঁকড়ে ধরেছে তারা। এর ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হলেও সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও শিল্প উৎপাদনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাব পড়ছে। যার হাত ধরে আসছে অর্থনৈতিক মন্দা। সব মিলিয়ে এ যেন এক দুষ্টচক্র। মূল্যস্ফীতি বেপরোয়াভাবে বাড়তে থাকলে অর্থনীতি ধসে পড়বে, আর একে থামানোর উপায় হিসেবে ভাবা হচ্ছে সুদের হার বৃদ্ধিকে। অথচ সুদের হার বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় শিল্প উৎপাদন মন্থর হয়ে পড়বে। মূল্যস্ফীতিতে ধুঁকছে ইউরো জোন অর্থনীতির এ দুষ্টচক্র থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা। তবে সামনে যে খুব বেশি সমাধান নেই, তা ফুটে উঠছে আইএমএফসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক মুরুব্বিদের পূর্বাভাসেই। সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন অর্থনৈতিক তথ্য ও উপাত্তেও বিষয়টি ফুটে উঠছে। ইউরো জোনে গত আগস্টে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। মূল্যস্ফীতির এ বৃদ্ধি আগে করা পূর্বাভাসের থেকেও বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্টাটের প্রতিবেদনে এ মূল্যস্ফীতির জন্য জ্বালানির উচ্চ মূল্যবৃদ্ধিকেই দায়ী করা হয়েছে। এ অঞ্চলে টানা নয় মাস ধরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে চলেছে। এটাও একটি রেকর্ড। মূল্যস্ফীতির প্রভাবে সব পণ্যের দাম বেড়ে গেলেও সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জ্বালানির দাম। এক বছরে জ্বালানিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ। পাশাপাশি খাদ্য পানীয় ও তামাকজাতীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া কাপড়, গৃহস্থালি সামগ্রী এবং যানবাহনের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ শতাংশ। ইউরো জোনের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি জার্মানিতে মূল্যস্ফীতি ব্যাপকভাবে আঘাত হেনেছে। দেশটিতে গত অর্ধশত বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। গত আগস্টে বছরওয়ারি মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮ শতাংশে। তবে ইউরো জোনের এ মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে বড় শিকারে পরিণত হয়েছে এস্তোনিয়া, লিথুনিয়া ও লাটভিয়ার মতো বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলো। মূলত ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই তারা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়েছে। দেশগুলোর বেশির ভাগই তাদের জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। শিগগিরই সংকট কাটছে না ইউরোপের ইউরো জোনের অর্থনীতির আশু উত্তরণের তেমন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক পরামর্শক সংস্থা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পোর গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের অর্থনীতিবিষয়ক প্রধান কেনেথ ওয়াট্রেট। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কেনেথ ওয়াট্রেট বলেন, ইউরো জোন মন্দার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এটা নিশ্চিত। এর প্রভাব কতটা গভীর কিংবা কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, এখন সেটাই হলো প্রশ্ন। ? সুদের হার বৃদ্ধিই কি একমাত্র সমাধান? পরিস্থিতি সামলাতে আপাতত মূল্যস্ফীতি ঠেকানোর দিকেই মনোযোগ দিয়েছে ইউরো জোনের দেশগুলো। একই বিষয় প্রতিধ্বনিত হয় ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মেইর-এর কণ্ঠেও। তিনি সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আপাতত ইউরো জোনের দেশগুলোর সামনে একটাই লক্ষ্য–মূল্যস্ফীতি ঠেকানো। এ জন্য ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) নেয়া সুদের হার বৃদ্ধির পদক্ষেপকে সমর্থন জানান তিনি। ইসিবির এ পদক্ষেপে ইউরোপজুড়ে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। সুদের হার বৃদ্ধির কুফল পড়বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যখন মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে সুদের হার বৃদ্ধি করে যাচ্ছে, তখন বিশ্ব অর্থনীতির গতি আরও শ্লথ হয়ে পড়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে আইএমএফের সবশেষ প্রতিবেদন। আগামী বছর বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৭ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি ২০২৩ সালের মধ্যেই মন্দার প্রভাব বিশ্বজুড়ে অনুভূত শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আসন্ন দিনগুলোতে বিশ্বের ৩টি প্রধান অর্থনীতি–যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনের অর্থনীতির গতি আরও শ্লথ হয়ে পড়বে। আইএমএফের চিফ ইকোনমিস্ট পিয়েরে অলিভিয়ার গারিঞ্চা বলেন, আগামী বছর থেকে মন্দার প্রভাব দৃশ্যমান হতে শুরু করবে। বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে অর্থনীতির এ অবস্থার কারণ হিসেবে তিনটি বিষয়কে চিহ্নিত করেছে। সেগুলো হচ্ছে: ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে বেড়ে যাওয়া জীবনযাত্রার খরচ এবং চীনের অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়ে পড়া। এ তিনটি বিষয়ের সংমিশ্রণে আগামী বিশ্ব অর্থনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে চীন সরকারের নেয়া জিরো কোভিড নীতিরও অনেকখানি দায় রয়েছে। বেইজিংয়ের এ নীতির কারণে দেশটির নির্মাণখাত সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি। ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপকে ভোগাবে আরও বহুদিন চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ সামনের দিনগুলোতে ইউরোপের অর্থনীতিকে আরও ভোগাবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে আইএমএফের প্রতিবেদনে। এর ফলে তৈরি হওয়া জ্বালানি সংকট থেকে ইউরোপ শিগগিরই মুক্তি পাবে না বলেও বলা হয়েছে। ২০২১ সালের পর ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম তিন গুণ বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়ে গেছে খাদ্যের দামও। ২০২২ সালে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। অথচ ২০২১ সালেও এ হার ছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এদিকে ইউরোপের জ্বালানি সংকট আগামী শীতে প্রকট হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। যার প্রভাব শুধু শীতকালেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং অনুভূত হবে আরও দীর্ঘদিন। এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ২০২২ সালের শীতকাল ইউরোপকে ব্যাপক ভোগাবে, তবে ২০২৩ সালের শীতকাল ইউরোপের জন্য আরও ভয়ংকর হবে। অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে বিশ্বে দেখা দেবে দুর্ভিক্ষ আইএমএফের মতে, দুর্যোগের কালো মেঘ এখনই দিগন্তে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতি এখনই সামলাতে না পারলে বিশ্বের দেশে দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়ার পাশাপাশি অর্থনীতিগুলো ধসে পড়া শুরু করতে পারে। এর প্রভাবে বিশ্বের দেশে দেশে দারিদ্র্য বৃদ্ধির পাশাপাশি তৈরি হতে পারে খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষ। এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রোসেনবার্গ বলেন, এ মুহূর্তে বিশ্বের ৪৭ শতাংশ দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে। একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছে পশ্চিমারা ইউরোপের এ পরিস্থিতিতে পড়ার পেছনে তাদেরও দায় রয়েছে বলে সমালোচনা আছে। মার্কিন সিনেটর ক্রিস মারফি ইউরোপীয় নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, জ্বালানির ব্যাপারে রাশিয়ার ওপর ইউরোপের অতি নির্ভরতাই আসলে ইউরোপের জন্য কাল হয়েছে। আবার এ পরিস্থিতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের দায়ও দেখছেন অনেক অর্থনীতিবিদ। খ্যাতনামা আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেপি মরগান চেজ প্লাসের প্রধান নির্বাহী জেমি ডিমোন সিএনবিসিকে বলেন, এ সংকট অনেক আগে থেকেই প্রত্যাশিত। আর এর পেছনে দায় আছে যুক্তরাষ্ট্রেরও। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের আরও আগে থেকেই তেল ও গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো উচিত ছিল। আবার একে অন্যের ওপরও দায় চাপাচ্ছেন ইউরোপীয় নেতারা। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মেতাউস মোরায়েস্কি বলেন, ইউরোপের এ সংকট ভ্রান্ত নীতির ফল, যার জন্য দায়ী জার্মানি। তিনি বলেন, ইউরোপজুড়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। রাশিয়ার জ্বালানির ব্যাপারে জার্মানির ভ্রান্ত নীতির দায় ইউরোপকে চুকাতে হচ্ছে। চাকরি হারাতে যাচ্ছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিনি এদিকে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বৃদ্ধির কারণে আগামী বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ৭৫ হাজার লোক নতুন করে বেকার হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক অব আমেরিকা। পাশাপাশি ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে ৫ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে তারা। মন্দার ঢেউ লাগছে এশিয়ায়ও প্রায় ২৫ বছর পর এশিয়ার দেশগুলোতে আবারও অর্থনৈতিক মন্দার ঢেউ লেগেছে। ছোটখাটো অর্থনীতির দেশ তো আছেই, চীন এবং জাপানের মতো শক্তিশালী অর্থনীতির দেশও এ মন্দার রেশ কাটাতে পারছে না। চীনা মুদ্রা ইউয়ান এবং জাপানি মুদ্রা ইয়েনের পতনে দেশদুটির অর্থমন্ত্রীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে। করোনার দীর্ঘ ধকল কাটিয়ে উঠে দেশগুলোর অর্থনীতি মূল ধারায় ফেরার প্রচেষ্টায় ছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্ত ভোগাচ্ছে এশিয়াকে হংকং-সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) এশিয়া অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফেড্রিক নিউম্যান বলেছেন, ফেডারেল রিজার্ভের কঠোর নীতির কারণে এশিয়ায় তার আঁচ লেগেছে। এ অঞ্চলের বড় দেশগুলোর সামষ্টিক অর্থনীতির জোর থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা কতটুকু ধরে রাখা যায়, সেটি বিবেচ্য। কিছু কিছু অর্থনৈতিক বিশ্লেষক এ-ও বলছেন যে, পরিস্থিতি এখন এশিয়ার দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই। শেষ পর্যন্ত এটি মন্দাবস্থার দিকে যাচ্ছে। কেমন হবে বাংলাদেশের অবস্থা বিশ্ব অর্থনীতিতে যে মন্দা তা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। প্রায় দেড় বছর ডলারের দর ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল থাকলেও খোলা বাজারে একপর্যায়ে ১২০ টাকা থেকে ১২১ টাকায় লেনদেন হতে দেখা যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ এখন ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে। গত বছরের ২৫ আগস্ট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বৈশ্বিক অর্থনীতির শ্লথগতি এবং স্থানীয় পর্যায়ে মানুষের ভোগব্যয় কমে যাওয়ায় গত অর্থবছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি কমে আসবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।Slider
দেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: