Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » গভীর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের’ মুখে ঐক্যের আবেদন--ঋষি সুনাক




প্রথম বক্তৃতায় যা বললেন ঋষি সুনাক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে জয়ী হওয়ার পর ঋষি সুনাক ‘গভীর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের’ মুখে ঐক্যের আবেদন জানিয়েছেন। খবর বিবিসির প্রথম বক্তৃতায় যা বললেন ঋষি সুনাক সোমবার (২৪ অক্টোবর) প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডান্ট এমপিদের কাছ থেকে যথেষ্ট সমর্থন পেতে ব্যর্থ হওয়ার পর টোরি নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় জয়ী হন সুনাক। প্রথম বক্তৃতায় সুনাক বলেছেন, তার দল ও যুক্তরাজ্যকে একত্রিত করাই ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ হবে। সুনাক যুক্তরাজ্যের প্রথম ব্রিটিশ এশিয়ান প্রধানমন্ত্রী এবং দুই শতাব্দীর মধ্

যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। ৪২ বছর বয়সী সুনাক সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বী। আশা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাজা কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের স্থলাভিষিক্ত হলেন সুনাক। লিজ ট্রাস ক্ষমতা গ্রহণের পর আরও অশান্ত ও সংকট বাড়ে ব্রিটেনে। এর ফলে মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করতেন বাধ্য হন। লিজ ট্রাস পদত্যাগ করার পর থেকে পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। উঠে আসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নামও। তবে স্থানীয় সময় রোববার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের লড়াই থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন বরিস। প্রয়োজনীয় সমর্থন নিশ্চিত করতে না পারায় ছিটকে যান আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডান্টও। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হন সুনাক। কে এই ঋষি সুনাক সুনাকের বাবা-মা মূলত পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। তবে তারা জন্মগতভাবে ভারতীয় ছিলেন। সুনাকের বাবা যশবীর ও মা ঊষা দুজনেরই জন্ম ভারতের পাঞ্জাবে। বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে উন্নত জীবন ও কাজের খোঁজে প্রথমে আফ্রিকা, এরপর যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তারা। যশবীর চিকিৎসক এবং ঊষা কাজ করতেন ফার্মাসিস্ট হিসেবে। যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটনে দুই ভাগ্যান্বেষীর ঘরে ১৯৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেন ঋষি সুনাক। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সুনাকের আনুষ্ঠানিক পড়াশোনার শুরু হয় বেসরকারি উইনচেস্টার কলেজিয়েট স্কুল থেকে। পড়াশোনা চালিয়ে নিতে সেই বয়সেই কঠোর পরিশ্রম করেছেন সুনাক। ছুটির দিনগুলোতে সাউদাম্পটনের একটি রেস্তোরাঁয় ওয়েটার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। ২০০১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন সুনাক। সেখানে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতির ওপর ডিগ্রি নেন। এরপর আরও উচ্চতর পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যানফোর্ড থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। সুনাকের আরও একটি পরিচয় হলো, তিনি ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি ও বহুজাতিক কোম্পানি ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তির জামাতা। নারায়ণমূর্তির মেয়ে অক্ষতার সঙ্গে তার আলাপ স্ট্যানফোর্ডে এমবিএ পড়াকালেই। পরে তাকে বিয়ে করেন এবং তাদের দুই কন্যাসন্তানও রয়েছে। আরও পড়ুন: বৈশ্বিক নিরাপত্তায় ‘এক নম্বর হুমকি’ চীন: সুনাক পড়াশোনা শেষ হওয়ার আগেই চাকরি শুরু করেন সুনাক। ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্সের বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি পরবর্তী সময়ে দুটি হেজ ফান্ডের অংশীদার হন এবং নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ব্যবসা থেকে সরাসরি রাজনীতিতে নাম লেখান সুনাক। বর্তমানে মাত্র ৪২ বছর বয়সী সুনাককে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে ধনী এমপি বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু তার সম্পদের পরিমাণ ঠিক কত, সে ব্যাপারে প্রকাশ্যে কখনো কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এ ছাড়া তার স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিও বহু সম্পদের মালিক। এমনকি তাকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের চেয়েও ধনী মনে করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসের ২০২১ সালের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায়ও অক্ষতার নাম ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, বর্তমানে ৭৩০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি রয়েছে সুনাক পরিবারের। লন্ডন ও কেনসিংটনে এই দম্পতির যে পেন্ট হাউস রয়েছে, তার প্রতিটির মূল্য আনুমানিক ৭০ লাখ পাউন্ড। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ও সান্টা মোনিকায় রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট। ব্যবসার মতো রাজনীতিতেও সুনাকের উত্থান বিস্ময়করই বটে। ২০১৪ সালে ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড আসনে প্রথমবার কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী হন। এরপর ২০১৫ সালে সাধারণ নির্বাচনে ওই আসন থেকে ব্যাপক ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) ইস্যুতে বিচ্ছেদের পক্ষে অবস্থান নেন সুনাক। এতে রাতারাতি তার ভাগ্য খুলে যায়। ব্রেক্সিট গণভোটে হেরে বিদায় নিতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এরপর ২০১৭ সালের আগাম নির্বাচনে একই আসন থেকে ফের এমপি নির্বাচিত হন সুনাক। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’ সরকারের মন্ত্রিসভার স্থানীয় সরকারবিষয়ক উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বরিস জনসনের আমলে প্রথমে রাজস্ববিষয়ক মন্ত্রী, এরপর ২০২০ সালে অর্থমন্ত্রী হন ঋষি সুনাক।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply