Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » বাসের ই-টিকিটিং নিয়ে এসব কী হচ্ছে!




রাজধানীতে অতিরিক্ত বাসভাড়া ঠেকাতে কিছুদিন আগেই চালু করা হয়েছে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা। শুরুর দিকে এ ব্যবস্থায় যাত্রীরা বেশ আস্থা পেয়েছিল; ফেলেছিল স্বস্তির নিঃশ্বাস। বাহবা দিয়েছিল ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতিকে। ধারণা করা হয়েছিল, বহুদিন পর হলেও হয়তো পরিবহন সেক্টরে ফিরে আসছে সুস্থ ধারা। বাসের ই-টিকিটিং নিয়ে এসব কী হচ্ছে! কিন্তু না, ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির এ উদ্যোগ এখন মুখ থুবড়ে পড়ার অবস্থায়। ১৫ দিন না পেরুতেই সুস্থতার ইঙ্গিত দেয়া সেই ই-টিকিটিং পদ্ধতি এখন যাত্রী ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তা থেকে গায়েব হয়ে গেছে এর অধীনে চলা অনেক বাস। ফলে আগের থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে পরীক্ষামূলকভাবে চারটি পরিবহন কোম্পানিতে ই-টিকিটিং চালু হয়েছিল। বর্তমানে চারটিসহ মোট আটটি পরিবহন কোম্পানির বাসে ই-টিকিটিং চালু রয়েছে। এরপর বলা হয়েছিল ২০ অক্টোবরের মধ্যে রাজধানীর সব বাসেই বাধ্যতামূলক ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। কিন্তু তা তো হয়নি, বরং রাস্তায় দেখা যাচ্ছে তার উল্টো চিত্র। হতাশ যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশেরও জায়গা পাচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায়, ওই পথে চলাচলকারী ঘাটারচর থেকে উত্তরাগামী প্রজাপতি ও পরিস্থান বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন কমপক্ষে শতাধিক যাত্রী। তারা কেউ কেউ প্রায় ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে সেখানে অপেক্ষা করছেন; কিন্তু বাসের দেখা মিলছে না। যা দু-একটা আসছে সে বাসগুলোতে দাঁড়ানোর জায়গাও নেই। ফলে টিকিট বিক্রেতারাও অনেকটা আয়েশেই সময় কাটাচ্ছেন। কারণ, বাস না আসলে তারাও টিকিট বিক্রি করতে পারছেন না। মোহাম্মদপুরের বছিলা থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিন শ্যামলীতে যাতায়াত করেন তানজিলা মোস্তাফিজ মিলি। এ জন্য তার একমাত্র ভরসা ওই রুটে চলাচলকারী প্রজাপতি বা পরিস্থান নামক বাস। বেসরকারি একটি এনজিওতে কাজ করা এই নারী জানালেন তার ভোগান্তির কথা। তিনি বলেন, ‘আগে সময় মতো বাস পাওয়া যেত, বাসে সিট পাওয়া যেত না। এখন আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়েও বাস পাওয়া যায় না; যা আসে তাতে দাঁড়ানোর জায়গাও থাকে না।’ এ জন্য বিকল্প হিসেবে তিনি সিএনজি বেছে নিচ্ছেন। তবে, সেখানে ভাড়া বেশি হওয়ায় সবসময় চলাফেরা করতে পারেন না। এজন্য শত ভোগান্তি সহ্য করেও বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় তার। আরও পড়ুন: ঢাকার বাসে চালু হচ্ছে ই-টিকেটিং মিলির মতো অবস্থা মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মধ্যবয়সী শামসুল ইসলামের। তিনিও প্রতিদিন বাসের জন্য অপেক্ষা করেন। কখনো কখনো সেই অপেক্ষা ঘুচলেও অধিকাংশ সময়ই সময় মতো মেলে না কাঙ্ক্ষিত বাস। তিনি জানান, গত ১০ দিনে এ সমস্যা অনেক প্রকট হয়েছে। বাসে দাঁড়ানোর জায়গাও পাওয়া যায় না। তার সাথে কথা বলতে বলতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পরিস্থান-এর একটি বাস আসে সেখানে। কিন্তু ওই বাসেও তিল ধারণের মতো অবস্থাও ছিল না। যারা বাস দেখে দ্রুত টিকিট নিয়েছিলেন তাদের অধিকাংশই বাসে উঠতে পারেননি। তখন কাউন্টারের কর্মীরা টিকিটের টাকা ফেরত দিয়ে যাত্রীদের অন্য বাসে চলে যেতে বলেন। সেখানে টিকিট বিক্রির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী বলেন, বাস না আসলে তাদের কতক্ষণ অপেক্ষা করতে বলবো আপনিই বলেন? তাই টাকা ফেরত দিয়ে অন্য বাসে চলে যেতে বলেছি। নাম প্রকাশ না করে প্রজাপতি পরিবহনের এক টিকিট বিক্রেতা জানালেন, বাস কমে গেছে। আগে এই ব্যানারে প্রায় ১৩০টির মতো বাস চলতো এখন চলতেছে ৮০ থেকে ১০০টি। বাস আসতে দেরি হওয়ায় তারাও টিকিট বিক্রি করতে পারছেন না। যদিও বাস আসা না আসার সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানা গেল। সারাদিনে কোনো টিকিট বিক্রি করতে না পারলেও দিন শেষে তাদের জন্য বরাদ্দ বেতন তারা পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে ক্ষতি মূলত বাস মালিকের। একই রকম বক্তব্য পাওয়া গেলে গাবতলীতে অছিম পরিবহনের টিকিট বিক্রেতার কাছ থেকেও। টিকিট বিক্রি করার সময় কথা হয় তার সাথে। বাস কমে যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক বাস রঙ করতে দিয়েছে মালিকরা। তাই বাস কম। আবার শুনতেছি ই-টিকিটিং-এ নাকি লস। দিন শেষে আমরা টাকা বুঝিয়ে আমাদের টাকা নিয়ে আসি।’ ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, কিছু বাস মালিক ও শ্রমিক এই উদ্যোগে অসহযোগিতা করছেন। অন্যদিকে ই-টিকিটিং-এর আওতায় থাকা পরিবহন কোম্পানিগুলো বলছে, তাদের আয় কমে গেছে। পরিবহন শ্রমিকদের সুবিধাও কমে গেছে। তাই তারাও ই-টিকিটিং-এ আগ্রহ পাচ্ছেন না। ই-টিকিটিং-এর আওতায় থাকা কিছু মালিক বাসের নাম পাল্টে অন্য নামে তা সড়কে চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে। যদিও সরাসরি কেউ তা স্বীকার করেনি। বলা হচ্ছে, বাস রঙ করা বা বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় বাসগুলো গ্যারেজে কাজ করানো হচ্ছে। বাসের সংখ্যা ইচ্ছাকৃতভাবে কমিয়ে দেয়া হচ্ছে না। আরও পড়ুন: গণপরিবহনে চালু হলো ই-টিকেটিং, থাকছে না বাড়তি ভাড়ার ঝামেলা প্রজাপতি পরিবহন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম রফিকুল ইসলাম জানালেন, ঢাকার অধিকাংশ বাসই অনেক পুরাতন। এগুলোকে নিয়মিত গ্যারেজে পাঠাতে হয়, বিভিন্ন ত্রুটি সারাতে হয়। এ জন্য কখনো কখনো বাস সংখ্যা সড়কে কমে যায়। তবে, যাত্রীদের অসহযোগিতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, যাত্রীরা কম ভাড়ার টিকিট কেটে বেশি দূরত্বে যাচ্ছেন। টিকিট ছাড়া যাত্রীরা বাসে উঠছেন। এতে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির একজন নেতা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘ই-টিকিটিংয়ে লাভ কম। অনেক যাত্রী টিকিট না নিয়ে ভ্রমণ করে, মাঝ পথ থেকে যাত্রী তুলে সেই ভাড়া ড্রাইভার-শ্রমিকরা মেরে দিচ্ছে। ফলে অনেক বাস মালিক দিনে ১৫০০-২০০০ টাকাও পাচ্ছেন না।’ যদিও এখন পর্যন্ত কঠোর অবস্থানে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ খানের কথায় তেমন আভাসই পাওয়া গেল। তিনি জানালেন, কোন একটি কাজ শুরু করতে গেলে কিছু বাধা আসবে। আমরা বিভিন্ন অভিযোগ শুনছি। চেষ্টা করছি সব বিষয় সমাধান করার, আমরা আশাবাদী। তিনি জানান, আগামী ১ নভেম্বর থেকে ঢাকার আরও কিছু বাস কোম্পানিকেই ই-টিকিটিং-এর আওতায় নিয়ে আসা হবে। বিআরটিএ’র চার্ট অনুযায়ী ই-টিকিটের ভাড়া নিশ্চিত করা হবে। স্টপেজ ছাড়া মাঝপথে বাস থামানো এবং যাত্রী তোলা নিষিদ্ধ করা হবে। এছাড়া ১১ নভেম্বর আরও ১৬টি কোম্পানির গাড়িকে এর আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানালেন এই পরিবহন নেতা।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply