খরায় জার্মানিতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবার খরার কবলে জার্মানিও। অনাবৃষ্টি ও নদ-নদীসহ ভূতলের পানির স্তর কমে যাওয়ায় ভয়াবহ ফসলহানির মুখোমুখি দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন দেশটির চাষিরা।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জার্মানিতে খরা দেখা দিচ্ছে। একে তো রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেল-গ্যাসসহ খাদ্যশস্যের কঠিন সংকট, তার ওপর ভয়াবহ খরার কবলে প্রায় সাড়ে আট কোটির জনসংখ্যার দেশটি। কয়েক বছর ধরে দেশটির বিভিন্ন নদীর পানির স্তর আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়া, তীব্র দাবদাহ, অনাবৃষ্টি কিংবা ভূতলের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে ফসলি জমি হারাচ্ছে উর্বরতা।
কৃষিখাতে উন্নত প্রযুক্তি ও উপকরণ ব্যবহার করেও শুধু পানির অভাবে কৃষিকাজে আগ্রহ হারাতে বসেছেন প্রান্তিক চাষিরা। এতে কমেছে গম, ভুট্টা, আলু, সরিষাসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্যের উৎপাদন।
একজন কৃষক বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এ বছরে আমরা বৃষ্টির দেখা পাইনি বললেই চলে। যার ফলে ফসলের উৎপাদন হয়েছে যৎসামান্য। বলা যায় ৫০ শতাংশ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। বৃষ্টির অভাবে গাছ বড় হচ্ছে না। ফলনও ভালো নয়।’
আরও পড়ুন: রুশ অভিযান না থামা পর্যন্ত ইউক্রেনের পাশে থাকবে জার্মানি
এমন পরিস্থিতিতে শুধু ফসলহানিই নয়, জার্মানিজুড়ে দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যেরও তীব্র অভাব।
এ বিষয়ে একজন বলেন, পানির অভাবে গো-খাদ্যেরও দেখা দিয়েছে তীব্র সংকট। সামনে যদি এমন খরা চলতে থাকে, তাহলে গবাদি পশুগুলো বাঁচিয়ে রাখা মুশকিল হবে।
দেশটির কৃষক সমবায় সমিতি বলছে, দাবদাহ অব্যাহত থাকলে কমে যেতে পারে আলুর উৎপাদন। একই সঙ্গে সুগার বিটস-এর উৎপাদন সুবিধাজনক না হওয়ায় দেখা দিতে পারে চিনির ঘাটতি।
আরও পড়ুন: জ্বালানি সংকটে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে জার্মানি
সাধারণত মৌসুমের এই সময়টায় জার্মানির মাঠঘাট থাকে একদম সবুজ। চারদিকে দেখা যেত আলুর ক্ষেত। কিন্তু এ বছরের চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। বৃষ্টি না হওয়ায় আলুর ক্ষেতের বেহাল দশা। অনেক কৃষকই কৃষিকাজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। উৎপাদন কমে যাবে অন্তত ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পানির স্বাভাবিক প্রবাহকে ধ্বংসের পাশাপাশি অতিমাত্রায় শিল্পায়নের দিকে ঝুঁকে পড়া থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে এ সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।
Tag: English News lid news world
No comments: