শ্রমিকদের শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরেছে চা বাগানে
টানা ১৯ দিন আন্দোলন-কর্মবিরতির পর, মজুরি নিয়ে সমস্যার অবসান হওয়ায় চা বাগানগুলোতে পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার সকাল থেকে দেশের বাগানগুলোতে চলছে পাতা উত্তোলন। দীর্ঘ বিরতির পর শৈল্পিক হাতের ছোঁয়া পেয়েছে চা গাছ।
এদিকে, টানা আন্দোলনের পর মজুরি বাড়ায় শ্রমিকদের মধ্যে আনন্দের শেষ নেই। বিপুল উৎসাহ নিয়ে কাজ করছেন তারা।
বাগান কর্তৃপক্ষ বলছে, এরইমধ্যে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তবে চেষ্টা থাকবে, একটু বেশি কাজ করিয়ে ক্ষতি পোষানোর।
দৈনিক মজুরী ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে ৪ দিন ২ ঘন্টা করে কর্মবিরতি করেন চা শ্রমিকরা। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা-বাগানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। চা-বাগানের মালিক এম শাহ আলমের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস সাংবাদিকদের কাছে সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন।
আহমদ কায়কাউস বলেন, “চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মজুরি নির্ধারণের পাশাপাশি বার্ষিক ছুটি, বেতনসহ উৎসব ছুটি আনুপাতিক হারে বাড়বে। অসুস্থতাজনিত ছুটি বাড়ানো হবে। চিকিৎসা ব্যয়ের চাঁদা মালিকপক্ষ বহন করবে। ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তার চাঁদা আনুপাতিক হারে বাড়বে।”
এ ছাড়া ভর্তুকি মূল্যে রেশন–সুবিধা বাড়ানো হবে। চিকিৎসাসুবিধা, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পেনশন, চা-শ্রমিকদের পোষ্যদের শিক্ষা বাবদ ব্যয়, রক্ষণাবেক্ষণ, গোচারণভূমি বাবদ ব্যয়, বিনা মূল্যে বসতবাড়ি ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ শ্রমিককল্যাণ কর্মসূচি এবং বাসাবাড়িতে উৎপাদন বাড়বে। সবকিছু মিলিয়ে দৈনিক মজুরি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকার মতো পড়বে।
Tag: English News politics
No comments: