ভয়াবহ দাবদাহ আর খরার কবলে চীন
ভয়াবহ দাবদাহ ও খরার কবলে বিপর্যস্ত চীনের জিয়াংঝি প্রদেশ। এর ফলে শুকিয়ে যাচ্ছে প্রদেশটির 'কিডনি' খ্যাত মিঠা পানির সবচেয়ে বড় হ্রদ পোয়াং। হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নিচে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিকাজ। ব্যাহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন। মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হওয়ায় বিপাকে সেখানকার বাসিন্দাদের জনজীবন। খবর দ্য হিন্দু।
খবরে জানা যায়, আগষ্ট মাসে চীনের জিয়াংঝি প্রদেশের নানচ্যাং শহরের পোয়াং হ্রদটি পানিতে টুইটম্বর থাকলেও এ বছরের চিত্রটি একেবারে উল্টো। তীব্র খরার কারণে পানি শুকিয়ে নিচে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ স্তর।
এতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেচ কাঠামো। প্রদেশটির 'কিডনি' খ্যাত মিঠা পানির সবচেয়ে বড় উৎস শুকিয়ে যাওয়ায় সুপেয় পানির অভাবে নাভিশ্বাস উঠেছে সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনে।
আরও পড়ুন: রঙিন মেঘে ঢাকা চীনের আকাশ
স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে দেখা যায়, গেল এপ্রিল মাসেও জিয়াংঝি প্রদেশে অবস্থিত চার হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তন থাকা এ লেকটি চলতি মাসে নেমে এসেছে মাত্র ৬০০ বর্গকিলোমিটারে। পর্যাপ্ত সেচের পানির অভাবে বিপাকে পড়েছেন প্রদেশটির কৃষকরা।
এদিকে গেল দুই সপ্তাহ ধরে সেখানে ভয়াবহ বিদ্যুৎ সঙ্কট চলছিল। রোববার (২৮ আগস্ট) তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হয়েছে।
গত ছয় দশকের মধ্যে এই অঞ্চলে সবচেয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলেছে। গরম থেকে বাঁচতে মানুষ প্রবলভাবে এসি চালিয়েছেন। এর ফলে বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে চীনের জ্বালানি আমদানি ৭৫ শতাংশ বেড়েছে
তীব্র খরার কারণে মানুষের পাশাপাশি দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে পশু-পাখিরাও। দেখা দিয়েছে নাব্য সংকট। যার কারণে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে নৌযান চলাচল।
তবে, বসে নেই স্থানীয় প্রশাসনও। সঙ্কট সমাধানে থ্রি গর্জেস এবং ড্যানজিয়াংকাউ জলাধার থেকে পানি নিয়ে আসার কথা ভাবছে তারা।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, জিয়াংঝি চীনের শস্য উৎপাদনকারী প্রদেশের মধ্যে অন্যতম। আর সেচের জন্য তাদের প্রধান উৎস পোয়াং লেকের পানি। তবে খরার কারণে লেকের পানির স্তর এখন তলানিতে। ফলে উৎপাদন ঠিক রাখতে নির্দিষ্ট সময়ে পানি সরবরাহের জন্য কূপ খননের কথা ভাবছেন কৃষকরা।
Tag: English News lid news world
No comments: