যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে পা রাখেন মঙ্গলবার রাতে। শীর্ষস্থানীয় মার্কিন আইন প্রণেতার এই সফরকে কেন্দ্র করে আরও আগে থেকেই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিল চীন। সফর শুরু হতেই এর নিন্দা জানিয়ে এবং মার্কিন-চীন সম্পর্কের ওপর এর 'গুরুতর প্রভাব' সম্পর্কে সতর্ক করে বিবৃতি দিয়েছে চীনের সরকারি ও রাজনৈতিক সংস্থাগুলো। এ ছাড়া চীনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা অবিলম্বে 'বিমান ও সমুদ্র মহড়া' শুরু করবে এবং আগামী দিনে তাইওয়ানকে ঘিরে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করবে। বেইজিংয়ের চোখে পেলোসির এই সফর একটি রাজনৈতিক উস্কানি ছাড়া আর কিছুই নয়। উপরন্তু এটিকে চীনের সার্বভৌমত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বেইজিং। কারণ, চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি দাবি করে, তারা কখনোই তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণ করেনি। বরং সবসময় তাইওয়ানের স্ব-শাসিত গণতন্ত্রকে স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করেছে। কিন্তু বেইজিংয়ের এসব আপত্তি কোনোভাবেই ধোপে টেকেনি। পেলোসি এবং মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে দেশটির আইনসভায় একটি বৈঠক করেছে। যে বৈঠকে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট পেলোসি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্র সবসময় তাইওয়ানের সঙ্গে আছে।' গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার জন্য তাইওয়ানের জনগণের সাহসের প্রশংসা করে বৈঠকে পেলোসি বলেন, 'আমরা চাই তাইওয়ান পূর্ণ নিরাপত্তাসহ সবসময় স্বাধীন থাকুক। আমরা কখনোই তাদের ছেড়ে যাচ্ছি না।' তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে পেলোসির এই 'গোঁয়ার্তুমি' সম্ভবত আগামী দিনে মার্কিন-চীন সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে বিশ্নেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র নয়, পেলোসির এই সফরের কারণে আগামী দিনে বেইজিংয়ের দিক থেকে আরও নানা বিধিনিষেধের কবলে পড়তে পারে তাইওয়ান। পেলোসির বিমানের চাকা তাইওয়ানের মাটি স্পর্শ করার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে একটুও দেরি করেনি বেইজিং। চীনা সামরিক বাহিনী তাইওয়ানের চারপাশে মহড়া চালাবে বলে তখনই ঘোষণা দিয়েছে। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত একটি মানচিত্রে দেখা গেছে- বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত সামরিক বাহিনী যেসব মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে তা পুরোপুরি তাইওয়ান দ্বীপকে ঘিরে এবং অতীতের তুলনায় দ্বীপের অনেক কাছাকাছি। পরিস্কার করে বললে, তাইওয়ানের আঞ্চলিক জলসীমার ওপরই এই নৌ মহড়া চালাবে চীন। এই দিকে ইঙ্গিত করে বিশ্নেষকরা বলছেন, আগামী দিনে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের হুমকি বরং আরও বৃদ্ধি পাবে। বেইজিংয়ের প্রকাশিত মানচিত্রটি দেখে মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন এবং ইউএস প্যাসিফিক কমান্ডের জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স সেন্টারের সাবেক ডিরেক্টর কার্ল শুস্টারের মন্তব্য হচ্ছে, 'মহড়ার মাধ্যমে চীন তাইওয়ানের দিকে আশঙ্কাজনকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কোনো এক দিন চীন তাইওয়ানের আকাশ ও সমুদ্রের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিতে পারে।' চীনের এ মহড়াগুলো কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এবং আগামী দিনে কী ঘটবে- এ ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী চং জা ইয়ান বলেন, 'দেশে এবং বিদেশে চীনের ভাবমূর্তির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বেইজিং তার আঞ্চলিক সমস্যাগুলোকে এমনভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে চায় যে, এসব সমস্যা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আবার বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর সামনে নিজেদের দুর্বল দেখাবে এমন কোনো বার্তাও তারা দিতে পারে না। ফলে পরবর্তীতে চীনা নেতা শি জিনপিং এমন কোনো পদক্ষেপ নেবেন যাতে দেশের অভ্যন্তরীণ প্রভাব বজায় থাকবে এবং একই সঙ্গে অন্যান্য আঞ্চলিক রাজ্যগুলোকে বশে রাখা যাবে। তবে আশঙ্কার ব্যাপার হলো, জিনপিংয়ের সেই পদক্ষেপ কী হবে, সত্যিই তা কেউ জানে না।'
Slider
দেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
জনপ্রিয় পোস্ট
-
শ্রাবন্তি কে কিস করে করলো বাংলার নায়ক শাকিব খান (ভিডিও)
No comments: