তেল আমদানি বন্ধে অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার পর ওই নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দিয়েছে দেশটির প্রতিনিধি পরিষদ।
বুধবার, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে এক ভোটাভুটিতে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভোট দেন ৪১৪ সদস্য এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ১৭টি। নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকরে প্রয়োজন উচ্চকক্ষ সিনেটের চূড়ান্ত অনুমোদন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের জেরে গেল মঙ্গলবার রাশিয়ার তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রভাবে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এক তৃতীয়াংশ। তার ওপর রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তেলের দাম উঠে গেছে ১৩০ ডলারের আশপাশে। ইউরোপীয় দেশগুলোও যদি এই নিষেধাজ্ঞায় শামিল হয় তবে প্রতি ব্যারেল দুশো ডলার অতিক্রম করবে তেলের দাম। এর প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে পারবে না ইউরোপসহ বাকি বিশ্ব।
বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই যেন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় সায় দিচ্ছে না ফ্রান্স-জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। তেলের দাম দুশো ডলার ছাড়িয়ে গেলে পুরোপুরি তেল ও গ্যাস আমদানিনির্ভর ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাবে রেকর্ড পরিমাণে। দেখা দেবে অর্থনৈতিক মন্দা। ইউরোপের গ্যাসের চাহিদার ৯০ শতাংশ এবং তেলের চাহিদার ৯৭ শতাংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আর এই আমদানির শীর্ষ যোগানদাতা রাশিয়া। দেশটি একাই ইউরোপের গ্যাস আমদানির ৪০ শতাংশ এবং তেল আমদানির ২০ শতাংশ যোগান দেয়। তাই আপাতত ইউরোপের সামনে রাশিয়ার জ্বালানির কোন বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: রাতে দেশে ফিরছেন সাকিব
আন্তর্জাতিক তেলের বাজার থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার প্রয়াসও বাকি বিশ্বের জন্য ভালো হবে না। কারণ রাশিয়া বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রফতানিকারক দেশ। বিশ্ববাজারে প্রতিদিন ৭ মিলিয়ন ব্যারেল পেট্রোলিয়াম পণ্য রফতানি করে থাকে রাশিয়া। রাশিয়ার এত বিপুল তেল বাজারে না এলে জ্বালানি সঙ্কটে পড়বে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতের মতো তেল আমদানিনির্ভর এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোও।
বাঁচতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র নিজেও। এরইমধ্যে দেশটিতে বেড়ে গেছে গ্যাসোলিনের দাম। দেশটির তেলের আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ফিউচার বুধবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছিলো ১২৬ ডলারে। অথচ ইউক্রেন সঙ্কট শুরুর আগে এর দর ছিলো প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারের নিচে। রাশিয়ার তেলের বিকল্প অনুসন্ধান না করা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসোলিনের দাম বাড়তেই থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
Tag: English News Featured world
No comments: