বাইডেনের কাগুজে নিষেধাজ্ঞায় কি প্রভাব পড়বে?
রাশিয়ার তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তবে এ নিষেধাজ্ঞায় শামিল হয়নি অন্যান্য ন্যাটো মিত্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ। এ পরিস্থিতিতে বাইডেনের এ নিষেধাজ্ঞা কাগুজে নিষেধাজ্ঞায় পরিণত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোয় রাশিয়ার তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একই পথে হাঁটার ঘোষণা দিয়েছে তার ন্যাটো মিত্র যুক্তরাজ্যও।
তবে এই দুই রাষ্ট্রের পথ এখনই অনুসরণ করছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোভুক্ত অন্যান্য দেশ। যদিও রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর প্রায় পুরোপুরি নির্ভরশীল তারা। ইইউ এবং ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো এই নিষেধাজ্ঞায় শামিল না হলে স্রেফ ফাঁকা বুলিতে পরিণত হবে বাইডেনের এই নিষেধাজ্ঞা। এমনই মত দিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র ডিরেক্টর অব গ্লোবাল এনার্জি সেন্টার র্যানডলফ বেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে খুব কমই তেল ও গ্যাস আমদানি করে থাকে। তাই এ নিষেধাজ্ঞা বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে, অর্থনৈতিক প্রভাব খুব একটা পড়বে না। তবে যদি ইউরোপ এতে শামিল হয়, তবে এর অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া হবে ব্যাপক এবং সুদূরপ্রসারী।
এদিকে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বিশ্বের জ্বালানি তেলের বাজারকে আরও অস্থির করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর এক লাফে তেলের দাম বেড়ে যায় ৫ শতাংশ। বর্তমানে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্রেন্টক্রুড ফিউচার বিক্রি হচ্ছে ব্যারেলপ্রতি ১২৫-১৩০ ডলারের মধ্যে।
আরও পড়ুন: বদলে গেছে ইউক্রেনের চিরচেনা রূপ
এ পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় দেশগুলোও যদি নিষেধাজ্ঞায় শামিল হয়, তবে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ছাড়িয়ে যাবে ২০০ ডলারে। এতে পুরোপুরি তেল ও গ্যাস আমদানিনির্ভর ইউরোপে মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে মুদ্রাস্ফীতি। দেখা দেবে অর্থনৈতিক মন্দা। কেননা, ইউরোপের গ্যাস আমদানির ৪০ শতাংশ এবং তেল আমদানির ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রেও বাড়তির দিকে তেলের দাম। এক গ্যালন গ্যাসোলিন বুধবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে ৪ দশমিক ২ ডলারে। দেশটির তেলের আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ফিউচার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওঠানামা করছে ১২০-১২৫ ডলারের মধ্যে।
No comments: