Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ইতালিতে ১০০ টাকায় বাড়ি কেনার সুযোগ




ইতালির অনেকগুলো প্রদেশের পাহাড়ি বা প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট্ট পৌরসভায় পরিত্যক্ত বাড়িগুলো বিক্রি হচ্ছে এক ইউরো বা বাংলাদেশি ১০০ টাকায়। জনবসতি ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য। ইতালিতে ১০০ টাকায় বাড়ি কেনার সুযোগ ইতালিতে এক ইউরো বা বাংলাদেশি ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বাড়ি! শুনতে অবিশ্বাস্য ও কাল্পনিক মনে হলেও এমনটাই সত্যি। ইতালির মতো উন্নত দেশে এক ইউরোতে বাড়ির মালিক হওয়ার কথা যখনই বিশ্ব মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল, তখন চার পাশে হইচই পড়ে যায়। হ্যাঁ, ঘটনাটা এমনই সত্যি যে যখন দু'বছর আগে দক্ষিণ ইতালির একটি ছোট পৌরসভা তাদের এক ইউরোতে পরিত্যক্ত বাড়িগুলো সাধারণ ক্রেতাদের নিকট বিক্রির জন্য উম্মুক্ত করনে, এতে প্রচুর সারা মিলে। সঙ্গে সঙ্গে শতাধিক বাড়ি বিক্রিও হয়েও যায়। একটি ছোট্ট পৌরসভা যেখানের লোক সংখ্যা এক হাজারেরও কম, সেই স্থানটিতে যদি নতুন করে ১৫০টি পরিবার প্রবেশ করে, যেখানে প্রতিটি পরিবারের লোক সংখ্যা চার থেকে পাঁচজন, তাহলে মৃতপ্রায় জনপদটি জেগে উঠে। ইতালির আব্রুজ্জ প্রদেশের যেই পাহাড়ি গ্রামটি প্রথম এক ইউরোর বিনিময়ে বাড়ি বিক্রির পরিকল্পনা গ্রহণ করে, সেই গ্রামটিতে দু'বছরের মাথায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কারণ মানুষের সমাগম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যারা বাড়িগুলোর মালিক হয়েছেন, তাদেরকে শর্তসাপেক্ষে পাঁচ হাজার ইউরো বা বাংলাদেশি টাকায় পাঁচলক্ষ টাকার সমপরিমাণ পৌরসভার একাউন্টে জমা রাখতে হয়েছে। পরিত্যক্ত বাড়িগুলো নিজের অর্থে, সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে হয়েছে। নিজের মতো করে নতুন ক্রেতারা বাড়ি সংস্কার নিশ্চিত করার পর, বসবাস উপযোগী হবার সঙ্গে সঙ্গে পৌরসভার একাউন্টে জমা রাখা পাঁচ হাজার ইউরো ক্রেতাকে ফেরত দিয়ে দেয় পৌরসভা। নিয়মানুসারে, বছরের নির্দিষ্ট সময় সেসব বাড়িতে বসবাস করতে হবে ক্রেতাকে। মাঝখানে বাড়িগুলোর সংস্কার হলো, মানুষজন বসবাস শুরু করার ফলে পৌরসভার পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পরিচ্ছন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ১৫০টি পরিবারের শিশুদের স্কুলে ভর্তি করার ফলে পৌরসভার শিক্ষপ্রতিষ্ঠানগুলোর চাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। এতে আয় বেড়েছে পৌরসভার। অধিক মানুষের বসবাস বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যও বেড়েছে পৌরসভার। সার্বিকভাবে মৃতপ্রায় জনপদটি জেগে উঠেছে। আরও পড়ুন: ইউরোপে পাড়ি দিতে মানবপাচারকারীদের নতুন পদ্ধতি! আব্রুজ্জ প্রদেশের সেই ছোট্ট পাহাড়ি পৌরসভার দেখানো পথে ইতালির অনেকগুলো পৌরসভা ইতিমধ্যে এই মডেলটি গ্রহণ করেছে। ইতালির প্রায় ৬ টি প্রদেশে এখন এক ইউরো বা ১০০ টাকায় বাড়ি প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। মূলত, সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে ইতালির বিশাল জনগোষ্ঠী গ্রাম বা ছোট্ট শহর ছেড়ে বড় বড় শহরে পাড়ি জমায়। কর্মসংস্থান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বড় আধুনিক শহরে নিজেকে ব্যস্ত করে তুলে। সেখানে দাদা-দাদির বাড়ির খোঁজও অনেকেই রাখে নাই। এছাড়া ইতালির বিশাল জনগোষ্ঠীর মানুষের নিজের ছেলে, মেয়ে ও সন্তানও নেই। তারা এবং যাদের সন্তানরা শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন এবং গ্রামে ফিরতে চান না, তারা তাদের সকল সম্পদ স্থানীয় পৌরসভা বা ধর্মীয় চার্চকে দান করে যান। ওই সকল বাড়ির মালিক নির্দিষ্ট সময়ের পর পৌরসভা বা চার্চ হয়ে যায়। পৌরসভা বা ধর্মীয় চার্চ এই পরিত্যক্ত বাড়িগুলো জনস্বার্থে বসতি স্থাপনের জন্য এক ইউরোতে বিক্রি করে দেয়। এতে জনবসতি পূনর্বাসন লাভ করে। এলাকাটি কোলাহল মুখর হয়ে উঠে। অনেকেই এখন এসব বাড়ি ক্রয়ের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। অনেক বিদেশি ইতোমধ্যে বাড়ির মালিকানা লাভ করেছেন। নতুন করে আবেদনের সুযোগ খোঁজার অপেক্ষায় আছে অনেক প্রবাসীও। এভাবেই ইতালিতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ১০০ টাকার বা এক ইউরোর বাড়ি মডেল।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply