বিশ্বব্যাপী নানা চাপে ক্লিষ্ট যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বব্যাপী নানামুখী চাপে পর্যুদস্ত যুক্তরাষ্ট্র। এবার আফগানিস্তানের পর, ইরাক থেকেও নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে দেশটি, যা নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে আরও জনপ্রিয়তায় ধস নামবে বাইডেনের। কিন্তু চীনের কাছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মসনদ হারানো আর অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে এর কোনো বিকল্পও নেই ডেমোক্র্যাটদের সামনে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশেষ প্রতিনিধি লস্কার আল মামুনের রিপোর্ট।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় চাপের মুখে জো বাইডেন প্রশাসন। আগস্টের এ ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। দেশটি থেকে সেনা সরিয়ে দুই দশকের সামরিক অভিযানের সমাপ্তি টানায় জনপ্রিয়তা কমেছে বাইডেনের। তবুও এবার ডিসেম্বরের মধ্যে ইরাকে সামরিক মিশন গুটিয়ে আরেকটি দীর্ঘ সামরিক অভিযানের ইতি টানতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে সর্বসম্মতিতে রোহিঙ্গাবিষয়ক প্রস্তাব পাস
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র এ কথা জানান, যা নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই এটিকে আরেকটি ভুল সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিচ্ছেন। তবে চীনের হাত থেকে মার্কিন অর্থনীতি বাঁচাতে এবং ব্যয় কমাতে এর বিকল্প নেই বলেও কিছুসংখ্যক অর্থনীতিবিদ মনে করেন।
জানা যায়, গত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-ইরাক কৌশলগত সংলাপের সময় যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা বজায় রাখবে ওয়াশিংটন। এ প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইরাকে মার্কিন বাহিনী আর সামরিক ভূমিকায় থাকবে না। তবে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার লক্ষ্যে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ, সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি করে যাবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে সেখানে আবার সন্ত্রাসবাদ বাড়লে কী পরিণতি হবে তা নিয়েও।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্বে থাকার সময় ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে চাপ বাড়ায় তেহরান। ইরাকি বিমানবন্দরের কাছেই ড্রোন হামলায় নিহত হন সোলেইমানি। বাগদাদ থেকে ওয়াশিংটনের সরে আসার সিদ্ধান্তকে তেহরানের কাছে পরাজয় হিসেবেও দেখছেন অনেকে।
Tag: English News world
No comments: