নেদারল্যান্ড আসা ৬১ যাত্রী ভয়ংকর ওমিক্রনে আক্রান্ত!
করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ‘ওমিক্রন’ কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)। নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামের শিফোল বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের কোভিড আক্রান্ত নিয়ে চিন্তিত ডাচ স্বাস্থ্য দপ্তর। তাদের প্রত্যেকেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে। তারা করোনাভাইরাসে নতুন রূপ ‘ওমিক্রন’ আক্রান্ত কি না, তা জানার জন্য আরও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
শুক্রবার দুইটি বিমানে প্রায় ৬০০ জন যাত্রী শিফোল বিমান বন্দরে নেমেছেন। তাদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনিবার (২৭ নভেম্বর) ডাচ স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ৬১ জনকে কোভিড আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা গেছে।
ডাচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পর্যটকদের যারা কোভিড পজিটিভ, তাদের শিফোল বিমানবন্দরের কাছে একটি হোটলে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
এরপরই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সমস্ত বিমান সেবা নিষিদ্ধ করেছে ডাচ প্রশাসন। যারা বিমানে রওনা দিয়েছেন, তাদের বিমানবন্দরে নামার পর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে বলে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন নিয়ে জরুরি বৈঠকে মোদি
আফ্রিকা থেকে আসা এক যাত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, কোভিড পরীক্ষার জন্য লম্বা লাইন পড়ে গেছে। টেস্টের জন্য পিপিই পরে শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে দাঁড়াতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য এমনিতেই হিমশিম পরিস্থিতি ডাচ প্রশাসনের। শুক্রবার থেকে রাতে বার, রেস্টুরেন্ট এবং দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যারিয়েন্টটি ব্যাপকভাবে মিউটেট (আচরণ পরিবর্তন) করেছে। এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দেয়া হয়েছে বি.১.১.৫২৯। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটির নাম দিয়েছে ওমিক্রন।
এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েকটি প্রদেশে কিছু মানুষ এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে বাস্তবে এটি আরও ছড়িয়ে গেছে।
এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি দেশ - দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, লেসোথো, এসওয়াতিনি- থেকে সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে।
এই ভ্যারিয়েন্টটি কতটা দ্রুত ছড়াতে পারে, প্রচলিত টিকার মাধ্যমে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ থেকে কতটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব এবং এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা পেতে কী করা যেতে পারে- তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
No comments: