Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ৪৩তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস।




প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ৪৩ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এটি। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরে পদার্পণ করল ১৭৫ একরের এ বিদ্যাপীঠ। সোমবার (২২ নভেম্বর)

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে বৃহৎ ইতিহাস। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর। কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহর থেকে যথাক্রমে ২৪ ও ২২ কিলোমিটার দূরে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর স্থানান্তর জটিলতায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ১৯৮৩ সালের ১৮ জুলাই এক অধ্যাদেশে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর থেকে গাজীপুরের বোর্ড বাজারে স্থানান্তর করা হয়। পরে ১৯৯০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টি গাজীপুর থেকে আবার শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে ফিরে আসে। জাতীয় সংসদে ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৮০ (৩৭) পাস হলে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যাবলি পরিচালনায় স্বায়ত্ত্বশাসন প্রদান করা হয়। পরে ১৯৮১ সালে ১ জানুয়ারি প্রথম উপাচার্য হিসেবে ড. এ এন এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরীকে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৪টি বিভাগে ৮ জন শিক্ষক ও ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয় একাডেমিক কার্যক্রম। এর পর থেকে গুটিগুটি পায়ে এগোতে থাকে শিক্ষা কার্যক্রম। কালের স্রোতে এখন ভরা যৌবনে পা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বর্তমানে ৮টি অনুষদের অধীনে চালু রয়েছে ৩৪টি বিভাগ। রয়েছে ৩৯০ জন শিক্ষক, ১৫ হাজার ৩৮৪ ছাত্র-ছাত্রী এবং ৭৯১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। ইসলাম শিক্ষার সাথে সমন্বয় রেখে আধুনিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এখানে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় অর্ধশত। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ পর্যন্ত ৫১৪ জন পিএইচডি এবং ৬৯৬ জন এম ফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে ২৯০ জন পিএইচডি এবং ২১৯ জন এম ফিল গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। সম্প্রতি অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৭ জন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অর্জনেও রয়েছে সফলতা। ক্রিকেট, টেনিস, অ্যাথলেটিক, ব্যাডমিন্টন, চাকতি নিক্ষেপসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রয়েছে নানা অর্জন। দেশের ক্যাম্পাস ভিত্তিক সবচেয়ে বড় শহীদ মিনার ইবি ক্যাম্পাসেই অবস্থিত। ক্যাম্পাস ভিত্তিক সর্ববৃহৎ মসজিদও রয়েছে এখানে (নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ)। এদিকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিচ্ছবি হিসেবে রয়েছে স্মৃতিসৌধ এবং মুক্ত বাংলা ভাস্কর্য। রয়েছে ১২০০ আসন বিশিষ্ট সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রীত বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিভাস্কর্য 'মৃত্যুঞ্জয়ী মুজীব', দৃষ্টিনন্দন মফিজ লেক, চিকিৎসা কেন্দ্র, ব্যয়ামাগার ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। মুক্তিযুদ্ধের উপর বিস্তর জ্ঞান অর্জনে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার, বঙ্গবন্ধু কর্ণার এবং একুশে কর্ণার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য রয়েছে আটটি হল। এরমধ্যে ৫টি ছাত্র হল এবং ৩টি ছাত্রী হল। ছাত্রদের জন্য রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, সাদ্দাম হোসেন হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, লালন শাহ হল, শেখ রাসেল হল এবং ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, শেখ হাসিনা হল, খালেদা জিয়া হল। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য বর্তমানে বিশ্বদ্যালয়ের পরিবহন পুলে ৪৩টি পরিবহন রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি এসি কোস্টার গাড়িসহ বাস-মিনিবাস ২২টি, অ্যাম্বুলেন্স ২টি, পিক-আপ ২টি। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় এই আবাসন ও পরিবহন সুবিধা অপ্রতুল। ৪২ বছরের প্রাপ্তির মাঝে রয়ে গেছে কিছু অপ্রাপ্তিও। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৪২ বছর পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা পায়নি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল। ফলে ই-লার্নিং, গবেষণা ক্ষেত্র ও শিক্ষাবৃত্তিসহ অনেক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ইবি আবাসিক উল্লেখ থাকলেও ৪২ বছরে তা পূর্ণতা পায়নি। প্রতি বছর শিক্ষার্থী বাড়লেও আবাসিক হলের অপর্যাপ্ত রয়েই যাচ্ছে। আবাসন সুবিধার আওতায় মাত্র ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এদিকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন বিভাগ খোলা হলেও শ্রেণিকক্ষের বন্দোবস্ত হয়নি পূর্ণরূপে। শিক্ষক, ল্যাব ও সেমিনার লাইব্রেরি সংকট নিয়েই চলছে নতুন বিভাগগুলো। অনেক বিভাগে রয়েছে দীর্ঘ সেশনজট। এছাড়াও পর্যাপ্ত ল্যাব না থাকায় গবেষণাবিমুখ হয়ে পড়েছেন বিজ্ঞান অনুষদীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিয়েও বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৪২ বছর পার করলেও এ সকল সংকট সমাধান করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি, ৪২ বছরেও কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি ইবি। যার প্রধান কারণ লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতির কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। বর্তমানে ৫৩৭ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্পের অধীন নানা অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত মাত্র ৪টি সমাবর্তন পেয়েছে ইবি। প্রথম সমাবর্তন ২৭ এপ্রিল ১৯৯৩ সালে, দ্বিতীয় সমাবর্তন ৫ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে, তৃতীয় সমাবর্তন ২৮ মার্চ ২০০২ সালে এবং সর্বশেষ ৪র্থ সমাবর্তন ৭ জানুয়ারি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়। যাত্রালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ১৩ জন ভিসি ইবির হাল ধরেছেন। বর্তমানে ১৩তম ভিসির দায়িত্বে রয়েছেন প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে ৪৩তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। একই সময়ে প্রভোস্টগণ স্ব-স্ব হলে জাতীয় পতাকা ও হল পতাকা উত্তোলন করবেন। পতাকা উত্তোলন শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা ও আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। পরে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হবে। র‌্যালি শেষে ক্যাম্পাসের বাংলা মঞ্চে আলোচনাসভা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম সময় নিউজকে বলেন, করোনা শেষে ক্যাম্পাসের একাডেমিক এবং প্রশাসনিকসহ সব কাজে প্রবাহমানতা তৈরি করার চেষ্টা করছি। সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। শিক্ষা, গবেষণা এবং প্রশাসন পরিচালনায় স্বচ্ছতা এই তিনটি বিষয় সামনে রেখে শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলের সহযোগিতায় আমরা সামনে এগিয়ে যাব।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply