আল-রাইসি ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় উদ্বেগ
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর উদ্বেগ প্রকাশ সত্ত্বেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক জেনারেলকে ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যের একটি নিপীড়ক সরকার সংস্থাটিকে নিজেদের সুবিধায় কাজে লাগাতে পারে বলে ঝুঁকি রয়েছে।-খবর এএফপির
ফ্রান্সের লিয়নভিত্তিক ইন্টারপোলে আমিরাতের বিপুল অর্থ ঢালার পর দেশটির এক কর্মকর্তার এই নিয়োগের খবর এসেছে। এদিকে আমিরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, দেশটি রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করতে ইন্টারপোলের কথিত রেড নোটিসের মাধ্যমে গ্রেপ্তানি পরোয়ানা জারি করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) এক টুইটার পোস্টে ইন্টারপোল জানিয়েছে, আমিরাতের আহমেদ নাসের আল-রাইসিকে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট পোস্টের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইন্টারপোলে তিনি স্বেচ্ছা ও আনুষ্ঠানিক ভূমিকা পালন করবেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফ্রান্স ও তুরস্কে আল-রাইসির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তুরস্কের ইস্তানবুলে ইন্টারপোলের সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তাকে ইন্টারপোলের নিয়োগের বিরোধিতায় একমাত্র সরব ছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের পুলিশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দেখভালোর দায়িত্বে থাকা প্রবীণ কর্মকর্তা সারকা হাভরানকোভা।
১৯৮০ সালে আমিরাতের পুলিশে যোগ দেওয়ার পর কয়েক দশক সেখানে কাজ করেন আল-রাইসি। ইন্টারপোলে তাকে নিয়োগের বিরুদ্ধে সতর্ক করে ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভোন ডের লিয়ানের কাছে চিঠি দিয়েছেন ইউরো পার্লামেন্টের তিন সদস্য।
তারা লিখেছেন, তাকে নিয়োগের মাধ্যমে ইন্টারপোলের খ্যাতি ও মিশন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনকি ইন্টারপোলের মিশন সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট হলেন আমিরাতের কর্মকর্তা
আল-রাইসিকে এ পদে বাছাই করার ক্ষেত্রে ২০২০ সালের অক্টোবরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ ১৯টি বেসরকারি সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। তারা জানিয়েছে, আমিরাতের এই পুলিশ কর্মকর্তা এমন একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ ছিল, যারা শান্তিপূর্ণ সমালোচকদের নিয়মিত নির্যাতন করে আসছে।
রাইসির বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ব্রিটিশ নাগরিক ম্যাথু হেডজ বলেন, ২০১৮ সালের মে থেকে নভেম্বরের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শিক্ষাসফরের সময়ে গুপ্তচরবৃত্তির মিথ্যা অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এছাড়া আমিরাত সরকারের সমর্থক আহমেদ মানসুরের ওপর বর্বর নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে
Tag: English News Featured world
No comments: